শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা
রংপুরে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ

এএসআই রায়হান পাঁচ দিনের রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

রংপুরের হারাগাছ এলাকায় নবম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার ডিবি পুলিশের এএসআই রায়হানের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। একই সঙ্গে গ্রেফতার দুই নারীর তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে রংপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক আদালতের বিচারক স্নিগ্ধা রানী শুনানি শেষে রায়হানুল ইসলাম ও সুমাইয়া আক্তার মেঘলা ওরফে আলেয়া এবং সুরভি আক্তার ওরফে সমাপ্তির রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকালে অভিযুক্ত রায়হানুলকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন জানালে বিচারক ৪ নভেম্বর শুনানির দিন ধার্য করেছিলেন। ওই দিন দুই নারীকেও আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর পিবিআইর পুলিশ সুপার এ বি এম জাকির হোসেন। তিনি বলেন, অধিকতর তদন্তের স্বার্থে আসামিদের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হয়। বিচারক এএসআই রায়হানুল ইসলামের পাঁচ দিন এবং দুই নারীর তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। এ মামলায় গ্রেফতার দুই আসামি বাবুল হোসেন (৩৮) ও আবুল কালাম আজাদ গত ২৮ অক্টোবর দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, রংপুর মহানগর পুলিশের হারাগাছ থানাধীন ময়নাকুঠি কচুটারি এলাকার নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন ডিবি পুলিশের এএসআই রায়হানুল ইসলাম। প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে ওই ছাত্রীকে গত ২৩ অক্টোবর ক্যাদারেরপুল এলাকার ডা. শহিদুল্লাহ মিয়ার ভাড়াটিয়া সুমাইয়া আক্তার মেঘলা ওরফে আলেয়ার বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে রায়হান। পরে ২৪ অক্টোবর রাতে ভাড়াটিয়া মেঘলা ও তার সহযোগী সুরভি আক্তারের সহায়তায় বাবুল ও কালাম তাকে ধর্ষণ করে। এতে ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। ছাত্রীর বাবা পুলিশ সদস্য রায়হানুল ইসলাম ওরফে রাজু ও মেঘলাসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে হারাগাছ থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। পরে মামলাটি পিবিআইতে স্থানান্তর করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর