শনিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

দাম বাড়তি, শীতের আমেজ নেই সবজির বাজারে

নিজস্ব প্রতিবেদক

দাম বাড়তি, শীতের আমেজ নেই সবজির বাজারে

বাজার দর

চারদিকে বইছে শীতের আমেজ। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এসেছে শীতকালীন শাক-সবজি। তবে দাম অনেক চড়া। ফলে শীতের আমেজ নেই শাক-সবজির বাজারে। এর সঙ্গে পিঁয়াজ ও আলুর চড়া দাম তো আছেই। সব মিলিয়ে বাজারে গিয়ে মোটেই স্বস্তি পাচ্ছেন না নিম্নআয়ের মানুষ। যদিও অপরিবর্তিত আছে চাল, ডাল, তেল, মুরগি ও মাংসের দাম। আর নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশও আসতে শুরু করেছে বাজারে। কিন্তু দাম কমেনি।

গতকাল সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুর, মগবাজার, রামপুরা, মালিবাগ, মালিবাগ রেলগেট, শান্তিনগর, সেগুনবাগিচা, ফকিরাপুল, মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি কলোনি বাজার এবং খিলগাঁও বাজার ঘুরে এ চিত্রের দেখা মিলেছে। এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীতের আগাম সবজি শিম পাওয়া গেলেও তা এখনো অনেকটাই নাগালের বাইরে। বাজার ও মান ভেদে শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা। ছোট একটি ফুলকপি কিনতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা গুনতে হচ্ছে। একই দাম দিতে   হচ্ছে বাঁধাকপির জন্য। এ ছাড়া বরবটি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, বেগুন ৮০ থেকে ১১০ টাকা, উস্তে ৯০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ঢেড়সের দাম বেড়ে ৭০ থেকে ৯০ টাকা হয়েছে। এর সঙ্গে পটোল, শসা, ঝিঙা, ধুন্দুল, কচুর লতি, কাঁকরোলসহ কোনো সবজির দামই ক্রেতাদের স্বস্তি দিচ্ছে না। শসার কেজি গত সপ্তাহের মতো বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকায়। গাজরের দাম বেড়ে ৮০ থেকে ১০০ টাকা হয়েছে। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে পাকা টমেটো, শিম, উস্তে, বেগুন, বরবটি। পটোল বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। ঝিঙার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, একই দামে বিক্রি হচ্ছে কচুর লতি। এ সবজিগুলোর দাম সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে। এ ছাড়া লাউয়ের পিস গত সপ্তাহের মতো বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। এক হালি কাঁচা কলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। বাজারে দেখা যায়, স্বস্তি মিলছে না কাঁচামরিচ ও পিঁয়াজের দামেও। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচামরিচের দাম কিছুটা কমেছে। গত সপ্তাহে ৫০ থেকে ৬০ টাকা পোয়া (২৫০ গ্রাম) বিক্রি হওয়া কাঁচামরিচ ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। আর পিঁয়াজ আগের মতো কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা। এদিকে সরকার দুই দফায় আলুর দাম বেঁধে দিলেও বাজারে সরকারের নির্দেশনার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। সরকার প্রথমে খুচরা পর্যায়ে আলুর কেজি সর্বোচ্চ ৩০ টাকা এবং পরে ৩৫ টাকা বেঁধে দেয়। তবে ভোক্তারা এক কেজি আলু ৪৫ টাকার নিচে কিনতে পারছেন না। এমনকি এখনো কোথাও কোথাও আলুর কেজি ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আর বাজারে আসা নতুন আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকার ওপরে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের বিক্রেতা রহিম খান বলেন, শীতের সবজির এলেও, চাহিদার তুলনায় কম। ফলে দাম কমছে না। খিলগাঁও বাজারের বিক্রেতা আলী হোসেন বলেন, বন্যা ও টানা বৃষ্টির কারণে এবার সবজির অনেক ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে দাম বেশি। তবে কিছু দিনের মধ্যে দাম কমবে। এদিকে রাজধানীর বাজারগুলোতে অপরিবর্তিত রয়েছে চাল, ডাল, তেল, মুরগি ও মাংসের দাম। বাজারে বর্তমানে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ৯৮ থেকে ১০০ টাকায়। আগের বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে চাল।

সর্বশেষ খবর