রবিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

রস সংগ্রহের প্রস্তুতিতে গাছিরা

জামান আখতার, চুয়াডাঙ্গা

রস সংগ্রহের প্রস্তুতিতে গাছিরা

প্রকৃতিতে বইছে শীতের আগমনী বার্তা। শীতের পিঠায় অন্যতম অনুষঙ্গ খেজুরের গুড়। এ গুড় পাওয়া যায় খেজুরের রস থেকে। ফলে চুয়াডাঙ্গায় ব্যস্ততা বেড়ে গেছে গাছিদের। খেজুর গাছ কাটা-ঝোড়ার কাজে নেমে পড়েছেন তারা।

কৃষি বিভাগ জানায়, চুয়াডাঙ্গার বেশিরভাগ গ্রামের পথ দিয়ে হেঁটে গেলে চোখে পড়ে খেজুর গাছ। জমির আইলে আইলে খেজুর গাছ লাগিয়েছেন কৃষকরা। বিশেষ করে জেলা সদরের গাড়াবাড়িয়া, বেলগাছি, সরোজগঞ্জ, মহাম্মদজমা, বোয়ালিয়া এবং দামুড়হুদার জয়রামপুর, দোস্ত  প্রভৃতি গ্রামে খেজুরের গাছ বেশি। শীত মৌসুমে এসব গ্রামে খেজুরের রস বিক্রি ও গুড় তৈরির কাজ চলে পুরো দমে। এখন চলছে তারই প্রস্তুতি। সদর উপজেলার দ্বীননাথপুর গ্রামের গাছি ইজাহার আলী জানান, শীতের শুরুতেই খেজুর গাছ ঝুড়ে-কেটে রস সংগ্রহের জন্য প্রস্তুত করা হয়। এরপর দেওয়া হয় চাচ। পরে নলি মারার মাধ্যমে শুরু হয় রস সংগ্রহ। খেজুরের সুস্বাদু রস জ¦ালিয়ে তৈরি হয় গুড় ও পাটালি। বেলগাছি গ্রামের কৃষক শরিফুর রহমান সেন্টুু জানান, সাধারণত চাষিরা অন্য চাষের পাশাপাশি খেজুর গাছ লালন-পালন করেন। একজন চাষির ২০০ খেজুর গাছ থাকলে মৌসুমে তাদের দৈনিক আয় হয় তিন থেকে চার হাজার টাকা। বছরের নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলে খেজুর গুড়ের মৌসুম। এ সময় তারা মোটা অঙ্কের বাড়তি আয় করে থাকেন।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, খেজুর গুড় তৈরির জন্য চুয়াডাঙ্গা জেলায় প্রায় তিন লাখ খেজুর গাছ রয়েছে। প্রতি বছর জেলার গাছিরা আড়াই থেকে তিন হাজার মেট্রিক টন খেজুর গুড় উৎপাদন করেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক সুফি মো. রফিকুজ্জামান জানান, পিঠা-পুলির অন্যতম উপকরণ খেজুর গুড়। এ গুড় তৈরি হয় খেজুরের রস থেকে। তাই শীতের শুরুতেই গাছিরা খেজুর গাছ প্রস্তুত করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তাছাড়া চুয়াডাঙ্গা জেলার খেজুরের গুড়ের সুনাম দেশজোড়া। শীতের মৌসুমে খেজুরের গুড় ও পাটালি বিক্রি করে বাড়তি আয় করেন জেলার চাষিরা।

সর্বশেষ খবর