যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনের এক দিন পর থেকে করোনা সংক্রমণ রেকর্ডের পর রেকর্ড তৈরি করে চলেছে। একদিকে ভোটকে কেন্দ্র করে জনসমাগম, আরেকদিকে শীতের আগমণকে কেন্দ্র করে এমন হচ্ছে বলে পর্যবেক্ষকরা ধারণা করছেন।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের হিসাব অনুযায়ী, গত ৩ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে ২৪ ঘণ্টায় করোনার সংক্রমণ ঘটে ৯৪ হাজার ৪৬৩ জনের শরীরে। পরের দিন ৪ নভেম্বর এ সংখ্যা হয় ১ লাখ ৮ হাজার ৩৮৯। ৫ নভেম্বর সংক্রমণের সংখ্যা হয় ১ লাখ ২০ হাজার ২৭৬। ৬ নভেম্বর ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের সংখ্যা পৌছায় ১ লাখ ৩২ হাজার ৫৪০-এ। অর্থাৎ ২ নভেম্বর ভোটের পর থেকে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও।

এ ছাড়া আরকানস, কলোরাডো, ইদাহো, মেইন, নেভাডা, নিউ মেক্সিকো, নর্থ ক্যারোলিনা, রোড আইল্যান্ড, উতাহ, ওয়াশিংটন এবং ওয়াইওমিংকে দৈনিক শনাক্তের রেকর্ড হয়েছে। করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় কিছু শহর এবং অঙ্গরাজ্যে নতুন করে কারফিউ জারি করা হয়েছে। করোনা সংক্রমণ রোধ করতে জনসমাগমেও নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল পর্যায়ে কোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এ ছাড়া ১৭টি অঙ্গরাজ্যে মাস্ক পরার ব্যাপারেও তেমন কোনো নির্দেশনা জারি করা হয়নি। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ মার্ক মিডোস করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাকে বেশিরভাগ জনসমাগমে মাস্ক ছাড়াই অংশ নিতে দেখা গেছে। একটি সূত্র রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছে যে, তার দেহে কভিড-১৯ পজিটিভ ধরা পড়েছে। তবে কবে কীভাবে তিনি করোনায় আক্রান্ত হলেন সে বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি। সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার আরও একজন শীর্ষ সহযোগী নিক ট্রেইনারও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সর্বশেষ তথ্য : বিশ্বব্যাপী মহামারী আকারে ছড়িয়ে করোনাভাইরাসে গতকাল পর্যন্ত মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৯৮ লাখ। মৃত্যু ছিল ১২ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন। করোনা থেকে মুক্ত হওয়ার সংখ্যা ছিল ৩ কোটি ৫৩ লাখ ১৫ হাজার ৭১৬ জন।