সোমবার, ৯ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

ধূম্রজালে আছি, ঘুরে দাঁড়াতে পারব

-সিদ্দিকুর রহমান

ধূম্রজালে আছি, ঘুরে দাঁড়াতে পারব

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ইউরোপের দেশগুলোতে লকডাউন দেওয়ায় ব্যবসায়ীরা ধূম্রজালে আছেন বলে মনে করেন পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। তবে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, শিগগিরই পোশাকশিল্প ঘুরে দাঁড়াবে। গতকাল  বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, এত দিন অর্ডার মোটামুটি ভালোই ছিল। কিন্তু গত সপ্তাহ থেকে অর্ডার নেতিবাচক হচ্ছে। যদিও সার্বিক পরিস্থিতি খারাপ ছিল না। কিন্তু বিভিন্ন দেশের লকডাউন পরিস্থিতি বুঝতে মধ্য নভেম্বর অতিক্রম করতে হবে।

ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) এই সহসভাপতি বলেন, ‘আমরা পোশাকশিল্প মালিকরা এক ধরনের ধূম্রজালের মধ্যে আছি। কিছু বুঝতে পারছি না। এত দিন অর্ডার ভালোই ছিল। বিক্রিও বেড়েছে। ফলে আমরা মনে করেছিলাম, চালিয়ে যেতে পারব। কিন্তু ইউরোপে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

বিজিএমইএর সাবেক এই সভাপতি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তারা তৈরি পোশাক কেনা কমিয়ে দিয়েছেন। দেশটির ব্র্যান্ড ও ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো পোশাক আমদানি চার ভাগের এক ভাগ কমিয়ে দিয়েছে। এতে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশগুলোতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে, অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চীনের পোশাক রপ্তানি ৪৫ শতাংশ কমেছে। ভিয়েতনামের ৯ ও বাংলাদেশের ১৩ শতাংশ পোশাক রপ্তানি কমেছে। আর প্রতিবেশী দেশ ভারতের কমেছে ২৯ ও পাকিস্তানের ১৩ শতাংশ।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ব্র্যান্ড ও ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো গত বছরজুড়ে ৮ হাজার ৩৮২ কোটি ডলারের পোশাক আমদানি করেছে। এই আমদানি ছিল ২০১৮ সালের চেয়ে ১ দশমিক ১৬ শতাংশ বেশি। আর চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে ৪ হাজার ৭০২ কোটি ডলারের পোশাক আমদানি করেন মার্কিন ব্যবসায়ীরা, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৭ দশমিক ৭১ শতাংশ কম।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর