শিরোনাম
সোমবার, ৯ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

পাখির স্বর্গরাজ্য জাবি ক্যাম্পাস

শরিফুল ইসলাম সীমান্ত, জাবি

পাখির স্বর্গরাজ্য জাবি ক্যাম্পাস

অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। গতকাল তোলা ছবি -রোহেত রাজীব

করোনার কারণে আট মাস ধরে বন্ধ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ক্যাম্পাস। মানুষের চলাচল সীমিত থাকায় জাহাঙ্গীরনগর হয়ে উঠেছে আরও সবুজ। হয়ে উঠেছে বন্য প্রাণীর অভয়ারণ্য। এ বছর তাই অতিথি পাখিদের সংখ্যাও অন্যান্য বছরের  চেয়ে বেশি হবে বলে আশা করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষকরা। তাদের ধারণা, এবার শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়বে পাখির সংখ্যা। শূন্য ক্যাম্পাসে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে পাখির বিচরণ। ক্যাম্পাসের ওয়াইল্ড লাইফ রেসকিউ সেন্টার, মনপুরা, বোটানিক্যাল গার্ডেনের পাশের লেক আর ট্রান্সপোর্ট চত্বরের লেকে প্রচুর সংখ্যক পাখি উড়াউড়ি করছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, হিমালয়ের উত্তরের সুদূর সাইবেরিয়া, চীন, মঙ্গোলিয়া ও নেপাল থেকে আসছে এসব পাখি। এদের বেশিরভাগই হাঁস জাতীয়। এরমধ্যে পাতি সরালি, পান্তামুখি, পাতারি, পচার্ড, ছোট জিরিয়া, মুরগ্যাধি, গার্গেনি, কোম্বডাক, পাতারি হাস, জলকুক্কুট, খয়রা, ফ্লাইফেচার ও কামপাখি অন্যতম। এ ছাড়া লাল গুড়গুটি, নর্দান পিন্টেল, কাস্তে চাড়া, কলাই, ছোট নগ, জলপিপি, মানিকজোড়, খঞ্জনা, চিতাটুপি, বামুনিয়া হাঁস ও  নাকতা প্রভৃতি জাতের কয়েক হাজার পাখির সমাবেশ ঘটে জাহাঙ্গীরনগরে। পাখি বিশেষজ্ঞ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কামরুল ইসলাম বলেন, শীতে ক্যাম্পাসে দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ২০৪ প্রজাতির পাখি দেখা যায়। এরমধ্যে ৭৮ প্রজাতির পাখি ক্যাম্পাসে নিয়মিত অবস্থান করে।

এ বছর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের কারণে কোলাহল না থাকায় এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা করেন তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর