সোমবার, ৯ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

পুলিশের সঙ্গে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুলিশের সঙ্গে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

শাহবাগ মোড়ে গতকাল মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি -বাংলাদেশ প্রতিদিন

করোনা মহামারীর মধ্যে পরীক্ষা না নেওয়াসহ ৪ দফা দাবিতে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজধানীর শাহবাগ মোড়। গতকাল সকাল থেকে শিক্ষার্থীদের টানা ২ ঘণ্টা বিক্ষোভ, অবস্থানের পর পুলিশ হটিয়ে দিতে চাইলে দুপুরে পাল্টে যায় শাহবাগের চেনা রূপ। আহত হন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। তারা বলছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত চলবে আন্দোলন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ৪ দফা দাবিতে সকাল ১১টার দিকে গত কয়েক দিনের আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে রাস্তা অবরোধ করে এমবিবিএস ও বিডিএস শিক্ষার্থীরা। এতে শাহবাগ মোড় হয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবির পক্ষে নানা স্লোগান দেন। পরে বেলা সোয়া ১টায় পুলিশ লাঠিপেটা করে তাদের সরিয়ে দিতে চাইলে উত্তেজনা দেখা দেয়। প্রায় আধা ঘণ্টার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ধস্তাধস্তির পর শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হওয়ার অভিযোগ করেছেন আন্দোলনরতরা। আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, আমরা রাস্তার পাশে দাঁড়ানোর পরও আমাদের মারা হয়েছে। আমাদের কেন মারা হয়েছে এর জবাব আমরা চাই। আরেক শিক্ষার্থী বলেন, পুলিশ এসে কীভাবে মেয়েদের হাতে ধরে, ঘাড়ে ধরে উঠিয়ে নিয়ে যায়? কোনো স্টুডেন্টের গায়ে তারা হাত তোলার অধিকার রাখে না। আমরা প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমাদের ওপর যে অবিচার হয়েছে, তিনি যেন এর প্রকৃত ব্যবস্থা নেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) হারুনুর রশীদ বলেন, আমাদের সঙ্গে অবশ্যই নারী পুলিশ ছিল এবং নারী পুলিশ আমাদের সামনে ছিল। তারা অভিযোগের স্বার্থে অভিযোগ করেছেন। আন্দোলনের নামে তারা রাস্তা অবরোধ করে জনদুর্ভোগ তৈরি করেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হিসেবে আমরা তাদের অনুনয়ের মাধ্যমে এখান থেকে সরানোর চেষ্টা করেছি। তারা আমাদের আক্রমণের চেষ্টা করেছে, আমরা এটা প্রতিহত করেছি। পুলিশ জানায়, পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আন্দোলনকারীরা বলেন, আমরা পরীক্ষা দেব না বলিনি। আমরা পরীক্ষা করোনার মধ্যে দেব না। করোনার পরে পরীক্ষা নেওয়া হলে তাতে আমরা রাজি আছি। করোনার মধ্যে পরীক্ষা দিতে গেলে আমাদের হোস্টেলে থাকতে হবে। এতে আমাদের জীবনের ঝুঁকি থেকে যায়। গত ২৭ অক্টোবর স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদফতরের এক নোটিসে ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে পরীক্ষা শুরুর সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এর পরই আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। তারা করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে পরীক্ষা না নেওয়া, সেশনজট নিরসন করে যথা সময়ে কোর্স সম্পন্ন করার ব্যবস্থা, বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ৬০ মাসের বেশি বেতন না নেওয়া ও মহামারীর সময় পরীক্ষা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হলে দায়ভার কর্তৃপক্ষকে নেওয়ার দাবি জানায়। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার জন্য বসে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর