সোমবার, ৯ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা
অস্ত্র ও মাদক মামলা

দেহরক্ষীসহ ইরফান পাঁচ দিনের রিমান্ডে

আদালত প্রতিবেদক

রাজধানীর চকবাজার থানায় করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও অস্ত্র আইনের পৃথক মামলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের বরখাস্ত কাউন্সিলর ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদুল ইসলামকে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার আসামিদের মাদক মামলায় দুদিন করে এবং অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম কায়সারুল ইসলাম অস্ত্র মামলায় তিন দিন করে রিমান্ডের এ আদেশ দেন।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার পরিদর্শক মো. দেলোয়ার আসামিদের আদালতে হাজির করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। এ সময় আসামিদের পক্ষে আইনজীবী প্রাণনাথ রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র বহন ও মাদকদ্রব্য রাখার অভিযোগে ২৭ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে রাজধানীর চকবাজার থানায় মামলা হয়। এ ছাড়া নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদের বিরুদ্ধে ২৬ অক্টোবর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় মামলা হয়। ঢাকার সোয়ারীঘাটের দেবীদাস লেনে হাজী সেলিমের বাড়িতে দিনভর অভিযান চালায় র‌্যাব। তল্লাশিতে সেখানে আগ্নেয়াস্ত্র, মাদক ও ওয়াকিটকি পাওয়ায় কথা জানানো হয় র‌্যাবের পক্ষ থেকে। এ সময় মাদক রাখার দায়ে ইরফানকে এক বছর এবং অবৈধভাবে ওয়াকিটকি রাখায় ছয় মাসের কারাদন্ড দেয় র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। আর তার দেহরক্ষী জাহিদকে ওয়াকিটকি বহন করার দায়ে ছয় মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া চকবাজার থানায় ওই দুজনের বিরুদ্ধে চারটি মামলাও করা হয় র‌্যাবের পক্ষ থেকে। ইরফানের কাছ থেকে একটি অবৈধ একটি পিস্তল ও একটি অবৈধ এয়ারগান উদ্ধারের ঘটনায় অস্ত্র আইনে এবং কয়েক বোতল মদ পাওয়ায় মাদক আইনে মামলা করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। একইভাবে জাহিদের কাছ থেকে একটি অবৈধ পিস্তল উদ্ধারের অভিযোগে অস্ত্র আইনে এবং ৪০৬টি  ইয়াবা উদ্ধারের অভিযোগে মাদক আইনে মামলা করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর