মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

গ্যাসলাইন বিস্ফোরণে বৃদ্ধার মৃত্যু, ছয়জন আশঙ্কাজনক

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে গ্যাসলাইন বিস্ফোরণে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় দগ্ধ হয়েছেন নয়জন। এদের মধ্যে বৃদ্ধা পেয়ারী বেগম (৬৫) মারা গেছেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল দুপুরে তার মৃত্যু হয়। দগ্ধ অন্যদের মধ্যে ছয়জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। গ্যাস লাইন বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে রবিবার রাতে নগরের আকবর শাহ থানাধীন উত্তর কাট্টলি মরিয়ম ভবনে। জানা যায়, দগ্ধ নয়জনের মধ্যে সাতজনই একই পরিবারের সদস্য। যে ছয়জনকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে তারা হলেন- মিজানুর রহমান (৪২), তার ভাই সাইফুল ইসলাম (২৫), বোন সুমাইয়া (১৮), মিজানের স্ত্রী বিবি সুলতানা (৩৬), তাদের সন্তান মানহা (২) ও মাহের (৮)। এ ছাড়া রিয়াজুল ইসলাম (২২), সালমা জাহান (২১) দম্পতি চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। দুর্ঘটনায় দগ্ধ মিজানুর রহমানের সহকর্মী শামসুল আরেফীন বলেন, মরিয়ম ভবনের ওই ফ্ল্যাটে মিজানুর রহমান তার দুই সন্তান ও স্ত্রী বসবাস করতেন। এ ছাড়া একটি রুমে সাবলেট থাকতেন রিয়াজুল ইসলাম ও সালমা জাহান দম্পতি। কয়েকদিন আগে নোয়াখালী থেকে মিজানুর রহমানের মা পেয়ারী বেগম, তার ছোট ভাই ও বোন বেড়াতে এসেছিলেন। ছেলের বাসায় বেড়াতে এসে আকস্মিক দুর্ঘটনায় মায়ের মৃত্যু হয়েছে। চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এসএম হুমায়ুন কবির গতকাল দগ্ধদের দেখতে গিয়ে বলেন, ৬৫ বছরের বৃদ্ধার শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে গেছে। আইসিইউতে চিকিৎসা দেওয়া অবস্থায় তিনি মারা  গেছেন। বাকিদের কারও ৪৫ শতাংশ, কারও পুড়েছে ৩০ শতাংশ। দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেন। পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। এখানে কারও অবহেলা বা গাফিলতি পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর