বুধবার, ১১ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

মুদ্রা পাচার মামলায় জি কে শামীমের বিচার শুরু

আদালত প্রতিবেদক

মুদ্রা পাচার মামলায় ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে আদালত। একই সঙ্গে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ১৯ নভেম্বর দিন ধার্য করেছে আদালত। গতকাল ঢাকার ১০ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ আদেশ দেন। এর আগে আসামিদের পক্ষে অব্যাহতির আবেদন করা হলে শুনানি শেষে তা খারিজ করে দেন বিচারক। এর ফলে এ মামলায় আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়। শামীম ছাড়াও অন্য আসামিরা হলেন- দেলোয়ার হোসেন, মুরাদ হোসেন, মো. জাহিদুল ইসলাম, শহীদুল ইসলাম, জামাল হোসেন, সামসাদ হোসেন ও আমিনুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে অভিযোগ গঠনের শুনানি করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু। অন্যদিকে জি কে শামীমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শওকত হোসেন। এ ছাড়া আসামি জাহিদুল, শহীদুল, জামাল ও সামসাদের পক্ষে আইনজীবী তারিকুল ইসলাম তারেক; আসামি আমিনুলের পক্ষে আইনজীবী এম এ আকবর উদ্দিন এবং আসামি মুরাদ ও  দেলোয়ারের পক্ষে অন্য একজন আইনজীবী শুনানি করেন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের মধ্যে গত বছরের ২০  সেপ্টেম্বর গুলশানের নিকেতনে শামীমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায় র‌্যাব। ওই ভবন থেকে নগদ ১ কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার টাকা, ৯ হাজার ইউএস ডলার, ১৬৫ কোটি ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার ১০টি এফডিআর, ৩২টি ব্যাংক হিসাবের চেকবই, আটটি আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ উদ্ধার করা হয়। জি  কে শামীমের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জি কে বিল্ডার্সের হাতে সরকারি প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকার ২২টি নির্মাণ প্রকল্পের ঠিকাদারি কাজ ছিল। পরে  সেগুলোর কার্যাদেশ বাতিল হয়। ওই অভিযানের পরদিন র‌্যাব-১ এর নায়েব সুবেদার মিজানুর রহমান বাদী হয়ে গুলশান থানায় এই মামলা দায়ের করেন। তদন্ত চলার মধ্যেই সিআইডির আবেদনে শামীম, তার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ১৯৪ ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ দেয় আদালত। সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাঈদ গত ৪ আগস্ট আটজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। তাতে মোট ২৬ জনকে সাক্ষী করা হয়। শামীমের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে আরও দুটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে অস্ত্র মামলায় সাত দেহরক্ষীসহ জি কে শামীমের বিচার শুরু হয়েছে।

সর্বশেষ খবর