বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

৩৩ বছরেও চালু হয়নি বগুড়া বেতার

সাড়ে ৮ কোটি টাকা ব্যয় করেও আসতে পারেনি সম্প্রচারে

আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া

৩৩ বছরেও চালু হয়নি বগুড়ার কাহালু বেতার কেন্দ্র। সাড়ে ৮ কোটি টাকা ব্যয় করেও অনুষ্ঠান সম্প্রচারের সক্ষমতা তৈরি হয়নি। রাজশাহী বেতারের অনুষ্ঠান রিলে করা হয় মাত্র। এজন্য কেন্দ্রটি বগুড়া অঞ্চলের উন্নয়নে কোনো ভূমিকা রাখছে না। আদৌ চালু হবে কিনা জানেন না কেউ। বাংলাদেশ বেতার কাহালু, বগুড়ার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৫ সালে ২৫ একর জমির ওপর প্রায় ৮ কোটি ৫১ লাখ ৬ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় বগুড়া বেতার কেন্দ্র। দেশের পাঁচটি ১০০ কিলোওয়াট উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বেতার কেন্দ্রের মধ্যে অন্যতম বগুড়ার এই কেন্দ্রটি। কিন্তু এফএম স্টুডিও না থাকায় আজও নিজস্ব সম্প্রচারে আসতে পারেনি মাইক্রোওয়েভ লিংকে ১০০ কিলোওয়াট উচ্চশক্তির ট্রান্সমিটারের এই কেন্দ্রটি। এদিকে পূর্ণাঙ্গ বেতার কেন্দ্রের দাবি জানিয়ে বিভিন্ন সময় সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো মানববন্ধনসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দিয়েছে। তবে কোনো সুফল মেলেনি। বগুড়ার কাহালু থিয়েটারের সভাপতি নাট্যাভিনেতা আবদুল হান্নান জানান, অবহেলিত শিল্পীদের কর্মসংস্থানের একটি মাধ্যম ছিল এই বেতার কেন্দ্র। কেন্দ্রটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হলে এই অঞ্চলের সাংস্কৃতিক কর্মীদের জীবনমান উন্নত হতো। সব সময় কাজের মধ্যে থেকে নিজেদের পরিবার পরিজনকে নিয়ে ভালোভাবে থাকতে পারতেন।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট বগুড়ার সভাপতি তৌফিক হাসান ময়না বলেন, যে জনপদে একটি বেতার কেন্দ্র থাকে তাকে ঘিরেই সেই অঞ্চলের সাংস্কৃতিক আন্দোলত উজ্জীবিত হয়, বেগবান হয়, সংস্কৃতিচর্চায় অনেকেই এগিয়ে আসেন। তাই এখানে পূর্ণাঙ্গ বেতার কেন্দ্র চালু করা হোক। বগুড়া বেতার কেন্দ্রের আবাসিক প্রকৌশলী মো. শহিদুর রহমান জানান, বগুড়ার এই কেন্দ্রটি বেতারের উচ্চশক্তি প্রেরণ কেন্দ্র-৫। বর্তমানে এই কেন্দ্রের মাধ্যমে বাংলাদেশ বেতার রাজশাহী কেন্দ্রের অনুষ্ঠান রিলে (সম্প্রচার) করা হয়। তবে নিজস্ব কোনো প্রচার কেন্দ্র ও এফএম নেই।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর