বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

পঞ্চগড়ে মায়ের মৃত্যুশোকে দুই মেয়ের মৃত্যু

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান পঞ্চমী বেওয়া (৯০)। মঙ্গলবার মাকে শেষ দেখা দেখতে আসেন ছয় মেয়ে। মাকে শেষ বিদায় জানিয়ে ছোট মেয়ে চৈতী রানী (৩০) এবং বড় মেয়ে স্বরজনি বালা (৫০) মায়ের মৃত্যু শোকে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়ার পথে তারা দুজনই মারা যান। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে বোদা উপজেলার চন্দনবাড়ী ইউনিয়নের খলিফাপাড়া এলাকায়। চন্দনবাড়ী ইউপি সদস্য জাকারিয়া হাবিব জানান, মায়ের মৃত্যু সংবাদ শুনে ছয় মেয়েই মঙ্গলবার সকালে বাপের বাড়ি ছুটে আসেন। সারাদিন মায়ের শোকে কাঁদতে থাকেন তারা। বিকালে শশ্মানে পঞ্চমীর লাশ সৎকার শেষে শশুড়বাড়ি ফেরার সময় হঠাৎ ছোট মেয়ে চৈতী রানী বুকে ব্যথা অনুভব করেন। তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়লে মাইক্রোবাসে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন স্বজনরা।  একই মাইক্রোবাসে চৈতীর বড় বোন স্বরজনি বালাও যাচ্ছিলেন। পথে বড় বোনও অসুস্থ হয়ে পড়েন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে দুই বোনই মাইক্রোবাসে মারা যান। জানা গেছে, মৃত পঞ্চমী বেওয়া এলাকার প্রয়াত প্রাণ কিশোর বর্মণের স্ত্রী। তিনি ছয় মেয়ে ও দুই ছেলের জননী। মৃত স্বরজনি বালা বোদা উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া এলাকার সুশীল রায়ের স্ত্রী। ছোট মেয়ে চৈতী রানীর বিয়ে হয় ঠাকুরগাঁওয়ের ফারাবাড়ী এলাকার পলাশ চন্দ্রের সঙ্গে । পঞ্চমী বেওয়ার ছেলে মলিন চন্দ্র জানান, সকাল ৮টায় মা মারা যান। বিকালে সৎকার শেষে বোনরা বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নেয়। এ সময় হঠাৎ ছোট বোন অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে বড় বোনও অসুস্থ হয়ে পড়ে। হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তার তাদের মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। গতকাল দুপুরে নিজেদের স্বামীর বাড়িতে দুই বোনের সৎকার হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর