শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

রপ্তানি আয়ে ডিসকাউন্ট নাকি অর্থ পাচার

১০ গার্মেন্ট ছাড় পেল ৩ মিলিয়ন ডলার, অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের কমিটি

রুকনুজ্জামান অঞ্জন

দেশের ১০টি তৈরি পোশাক কারখানার প্রায় ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয় ডিসকাউন্টের অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি কমিটি, যে অর্থ দেশে ফেরত আনার বিষয়ে রপ্তানিকারকদের আর বাধ্যবাধকতা থাকল না। পণ্য রপ্তানির পর পুরো আয় ফেরত না আনার এই সুবিধা দেশের অন্য কোনো রপ্তানি খাত পায় না। ফলে ডিসকাউন্টের সুযোগ নিয়ে তৃতীয় দেশে রপ্তানি আয়ের অর্থ পাচার নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। গার্মেন্ট মালিকরা অবশ্য বলছেন, বিদেশি ক্রেতারা রপ্তানি মূল্য কম দেওয়ার কারণেই নিরুপায় হয়ে তারা ডিসকাউন্টের আবেদন করেছেন। এর সঙ্গে অর্থ পাচারের কোনো যোগসূত্র নেই। গত ১১ অক্টোবর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন নির্বাহী পরিচালকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ডিসকাউন্ট কমিটির সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়।

রপ্তানি আয় ফেরত আনার বিষয়ে ছাড়প্রাপ্ত দেশের কোম্পানিগুলো হচ্ছে- দুকাটি অ্যাপারেলস লি., নাজাহ টেক্সটাইল অ্যান্ড গার্মেন্টস লি., ভুইয়া ওয়ারম্যাক্স প্রাইভেট লি., ক্রাউন ফ্যাশন অ্যান্ড সোয়েটার ইন্ডাস্ট্রিজ লি., জেডএ অ্যাপারেলস লি., ইন্টারসফট অ্যাপারেলস লি., মিশা সোয়েটার ইন্ডাস্ট্রিজ, নাকস ডিজাউন লি,. জুবায়ের অ্যান্ড জুবায়ের ফেব্রিক্স লি. এবং সোনিয়া অ্যান্ড সোয়েটারস লি.।

এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার রপ্তানি আয় ছাড় নিয়েছে জেডএ অ্যাপারেলস লি.। এ ছাড়া নাকস ডিজাইন নামে অপর একটি প্রতিষ্ঠানেরও প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রপ্তানি আয় ছাড়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর রপ্তানি আয় ছাড়ের পরিমাণ ১ লাখ ডলারের নিচে। জানা গেছে, দেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলো থেকে পণ্য রপ্তানির পর বিদেশি ক্রেতারা নানা অজুহাতে পুরো অর্থ দিতে গড়িমসি করে। অনেক সময় পণ্য নেওয়ার পর ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোর আর কোনো খোঁজ মেলে না। আবার পণ্যের গুণগত মান সঠিক না হলেও ক্রেতা প্রতিষ্ঠান অর্থ পরিশোধ করে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী জেডএ অ্যাপারেলসের রপ্তানি আয় ফেরত আনার বিষয়ে জার্মানির প্রিমিয়াম জিএমবিএইচ নামক ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জটিলতা সৃষ্টি হয়। মার্কেন্টাইল ব্যাংক কারওয়ান বাজার শাখা থেকে এলসির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটিতে পণ্য রপ্তানি করা হয়েছিল। আর নাকস ডিজাইনের রপ্তানি আয় নিয়ে ঝামেলা সৃষ্টি হয় মালয়েশিয়া, হংকং, জার্মানি, সুইডেন, ফ্রান্স ও সাইপ্রাসের ক্রেতাদের সঙ্গে। এ ছাড়া জার্মানির বনপ্রিক্স, ইতালির ক্যাপ্রি এসআরআই, অস্ট্রেলিয়ার ফেইথ ফ্যাশন প্রাইভেট লি., যুক্তরাজ্যের মাদারকেয়ার ইউকে লি., ফ্রান্সের লালিস টেক্সটাইল বাংলাদেশের অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশের কারখানা থেকে পণ্য নিয়ে রপ্তানি মূল্য ফেরত দিতে চাইছে না। এ বিষয়ে জেডএ অ্যাপারেলসের এমডি জাহাঙ্গীর আলম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তারা পোশাক রপ্তানি করেছিলেন জার্মানির ওই প্রতিষ্ঠানটিতে। সেই সময় পণ্যের চালান ডেলিভারি দিতে বিলম্ব হয়েছে, এই অজুহাতে ক্রেতা প্রতিষ্ঠান রপ্তানির অর্থ পরিশোধে ঝামেলা করছে। বিষয়টি নিয়ে তারা দেশে এবং দেশের বাইরে আন্তর্জাতিক সংস্থায় মামলা করেছেন বলেও জানান জেডএ অ্যাপারেলসের এমডি।

ডিসকাউন্ট না পাচার : গার্মেন্ট মালিকদের বিরুদ্ধে পণ্য রপ্তানির পুরো অর্থ বিদেশ থেকে ফেরত না আনার অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। আরও অভিযোগ রয়েছে, তারা পণ্য রপ্তানি আয় নানা অজুহাতে ফেরত না এনে সেগুলো কানাডা, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরের মতো তৃতীয় কোনো দেশে পাচার করে দেন। এ কারণে প্রশ্ন উঠেছে, তৈরি পোশাক খাতে ডিসকাউন্টের নামে অর্থ পাচার হচ্ছে কিনা।

২০১৬ সালের ১১ আগস্ট অর্থ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভার কার্যপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, একজন গার্মেন্ট ব্যবসায়ী দেশ থেকে ২৯৭ কনটেইনার (তৈরি পোশাক) পণ্য রপ্তানি করে এর বিপরীতে একটি ডলারও দেশে আনেননি। ওই সভায় এনবিআরের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছিল। এনবিআর বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছে বলেও সেই সভায় জানানো হয়েছিল। সভার কার্যপত্রে সেই প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করা হয়নি। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১১ অক্টোবরের ডিসকাউন্ট কমিটির সভার কার্যপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০১৬ সালে আরপি ফ্যাশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ইপিজেডের কেনপার্ক বাংলাদেশ অ্যাপারেল (প্রা.) লি. এ পণ্য সরবরাহের বিপরীতে পণ্যমূল্য প্রত্যাবাসিত হয়নি। এমনকি মূল্য প্রত্যাবাসিত না হওয়ার পর সরবরাহকৃত পণ্যও ফেরত আনা হয়নি। ১৯৯৬ সালে সিএ নিটওয়্যার নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠানের রপ্তানি মূল্য প্রত্যাবাসন হয়নি। অপ্রত্যাবাসিত রপ্তানি আয় বিষয়ে সভায় এলসিকৃত ব্যাংকের প্রতিনিধি যে তথ্য উপস্থাপন করেছিলেন তার সঙ্গে মিল ছিল না সিএ নিটওয়্যারের তথ্যের।

তৈরি পোশাক মালিকদের প্রতিনিধি হিসেবে ডিসকাউন্ট কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন বিকেএমইএর প্রথম সহসভাপতি মো. হাতেম। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি বলেন, ‘আমার জানা মতে, স¤পূর্ণ স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় রপ্তানি এবং আমদানিকারক উভয় দেশের সংশ্লিষ্ট ব্যাংকিং রিপোর্ট নিয়েই রপ্তানি পুনর্বাসনের অর্থ ডিসকাউন্টের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়।’ নিট তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর এই নেতা জানান, পণ্য রপ্তানির পর সেই আয় দেশে ফেরত আনার বিষয়ে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা রয়েছে। এ বিষয়ে এলসিকৃত ব্যাংকগুলোর দায় থাকলেও তারা ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কোনো দর কষাকষি না করে উল্টো রপ্তানিকারকদের চাপ দেয়। আবার বায়াররাও অনেক সময় সুযোগ নেয়। এমনও দেখা গেছে, তারা রপ্তানিকৃত পণ্য বন্দরে ফেলে রেখে ডেলিভারিতে বিলম্বের অভিযোগ তুলে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করে না। নানা অজুহাতে ক্রেতারা মোট রপ্তানি মূল্যের ১০ থেকে ৩০ শতাংশ, এমনকি ৪০ শতাংশ পর্যন্ত অর্থ ডিসকাউন্ট চায়। তখন তৈরি পোশাক মালিকরা বাধ্য হয়ে প্রত্যাবাসিত রপ্তানি আয়ের একটি অংশ ছাড় চেয়ে কমিটির কাছে আবেদন করেন।   

ডিসকাউন্টের নামে তৈরি পোশাক খাতের রপ্তানি আয় পাচারের বিষয়ে জানতে চাইলে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম জানান, ২০১০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তারা তৈরি পোশাক খাতের রপ্তানি আয়ের তথ্য সংগ্রহ করে সেখানে বড় ধররের গরমিল পেয়েছিলেন। সিপিডির এই গবেষক বলেন, ‘তারা যে পরিমাণ পণ্য সরবরাহ করেছিল তার সঙ্গে প্রত্যাবাসিত আয়ের যথেষ্ট ফারাক ছিল। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)-এর প্রাপ্ত তথ্য মিলিয়ে তারা দেখলেন আলোচ্য সময়ে যে পরিমাণ পণ্য রপ্তানি হয়েছে, তার চেয়ে প্রায় ১৬ শতাংশ রপ্তানি আয় কম এসেছে দেশে। সিপিডির গবেষক জানান, তারা এই গরমিলের বিষয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে জানলেন গার্মেন্ট মালিকরা প্রত্যাবাসিত রপ্তানি আয়ে যে ডিসকাউন্ট সুবিধা পান, সে কারণেও পুরো অর্থ দেশে ফেরত আসে না। আর রপ্তানি আয়ের হিসাবে গরমিলে এটিও একটি কারণ। 

গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘রপ্তানি আয়ে ডিসকাউন্ট সুবিধা অযৌক্তিক এটি বলা যাবে না। তবে এ ধরনের ডিসকাউন্ট অনুমোদনের আগে গার্মেন্ট মালিকরা যে আবেদন করছেন তার সঙ্গে সংগৃহীত নথিপত্রের কতটা মিল রয়েছে, সরবরাহকৃত কাগজপত্র কতটা সঠিক সেটি স্বচ্ছতার সঙ্গে যাচাই-বাছাই করতে হবে।

যে কমিটি এই ডিসকাউন্ট দিচ্ছে : তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের ডিসকাউন্ট সংক্রান্ত সব বিষয় নিষ্পত্তির জন্য ২০০১ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন ডেপুটি গভর্নরকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করে দেয় সরকার। পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের দায়িত্বরত একজন নির্বাহী পরিচালকের নেতৃত্বে এই কমিটি সময় সময় ডিসকাউন্ট অনুমোদন দিয়ে আসছে। জানা গেছে, ডেপুটি গভর্নরের অন্যান্য কাজে ব্যস্ততা থাকায় বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের নির্বাহী পরিচালক কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এই কমিটির সর্বশেষ সভাটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মূল ভবনের (৪র্থ তলায়) কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয় গত ১১ অক্টোবর, যেখানে ১০টি প্রতিষ্ঠানের ৩১ লাখ ৯০ হাজার ৭০৬ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ রপ্তানি আয় ডিসকাউন্টের অনুমোদন দেওয়া হয়। পদাধিকার বলে এখন কমিটির নেতৃত্বে আছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. হুমায়ুন কবীর। তিনিই সেদিন সভাপতিত্ব করেন। ২০০১ সালের ১৩ নভেম্বর থেকে কার্যক্রম শুরুর পর এটি ছিল ডিসকাউন্ট কমিটির ৭১তম সভা। অর্থাৎ এর আগে গত ১৯ বছরে আরও ৭০টি সভা (প্রতি বছর ৩টির বেশি) হয়েছে যেখানে এভাবে রপ্তানি আয় ছাড় দেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত কী পরিমাণ রপ্তানি আয় ডিসকাউন্ট করা হয়েছে তার কোনো তথ্য দিতে পারেনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই কর্মকর্তা। হুমায়ুন কবীর জানান, তার কাছে ডিসকাউন্টকৃত মোট অর্থের তথ্য নেই এবং এত আগের তথ্য তার অজানা। তবে তিনি সর্বশেষ সভায় প্রায় ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি অর্থ ছাড়ের তথ্যটি নিশ্চিত করেন। ডিসকাউন্টের নামে অর্থ পাচার হচ্ছে কিনা এর জবাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘অর্থ পাচারের সুযোগ নেই। কারণ আমদানি ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক রিপোর্টসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে রপ্তানি প্রত্যাবাসনের অর্থ ছাড়ে অনুমোদন দেওয়া হয়।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের এই কর্মকর্তা জানান, দেশের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো বিদেশি ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির দুর্বলতার কারণে অনেক সময় রপ্তানির পুরো অর্থ ফেরত পায় না। অনেক সময় ক্রেতা প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হয়ে গেলেও রপ্তানি আয় ফেরত আসে না। তখন সেই প্রতিষ্ঠানের দেউলিয়াত্বের রিপোর্ট নেওয়া হয়। ডিসকাউন্টের আগে প্রয়োজনীয় নথিপত্র যাচাই করেই চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। এজন্য কমিটিতে অর্থ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ছাড়াও এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বলে জানান তিনি।

যে সুবিধা শুধু গার্মেন্ট মালিকরাই পান : বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১০০-এর বেশি রকমের পণ্য রপ্তানি হলেও এই ডিসকাউন্ট সুবিধা দেওয়া হয় শুধু গার্মেন্ট মালিকদের। অন্য কোনো খাতের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ক্রেতাদের মাধ্যমে প্রতারিত হলেও তারা এ ধরনের কোনো ছাড় বা সরকারের নীতি সহায়তা পায় না। গোলাম মোয়াজ্জেম বলছেন, সরকারের নীতি সহায়তা কোনো একটি বিশেষ খাতের জন্য হওয়া উচিত নয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডিসকাউন্ট কমিটির প্রধান বলছেন, সরকারের নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত হলে অন্য খাতের রপ্তানিকারকরাও এই ডিসকাউন্ট সুবিধায় অর্ন্তভুক্ত হতে পারেন। এর অর্থ হচ্ছে- দেশ থেকে পণ্য রপ্তানি হবে এবং রপ্তানি আয় পুরোপুরি দেশে ফেরত না আনার যে সরকারি প্রক্রিয়া ‘ডিসকাউন্ট প্রথা’ চলতেই থাকবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর