শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

থানায় আশ্রয় নিয়েও বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল না স্কুলছাত্রী

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার সন্ধারই গ্রামে এক স্কুছাত্রীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। থানায় গিয়েও বাল্যবিয়ে থেকে শেষ রক্ষা পায়নি সে। সেই সঙ্গে চলছে পাশবিক নির্যাতন।

জানা যায়, স্কুলছাত্রী শিমু আক্তার উপজেলার বি এন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। স্থানীয় লিপি, চিহারী ও মা রুমা খাতুন, বাবা রফিকুল ইসলামসহ কাজি অফিসের লোকজন মিলে শিমুকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দেন উপজেলার কেউটান এলাকার মাসুমের সঙ্গে। বিয়ের সময় কথা ছিল ১৮ বছর বয়স হলে শিমুকে স্বামীর বাড়ি পাঠানো হবে। কিন্তু এক মাস যেতে না যেতেই স্বামীর বাড়ি যাওয়ার জন্য তার পরিবার থেকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু শিমু রাজি না হওয়ায় তার মা-বাবা মারধর করে শুক্রবার স্বামীর বাড়ি পাঠালে সেখান থেকে পালিয়ে গিয়ে রানীশংকৈল থানার ভিতরে আশ্রয় নেয়। কিন্তু স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা জোর করে থানা থেকে বের করে নিয়ে আসেন। নিয়ে আসার সময় শিমু হাউমাউ করে কান্না জুড়ে দিলে থানার প্রধান ফটকের সামনে লোকজন ছুটে আসে। তবে আওয়ামী লীগ নেতার ভয়ে কেউ এগিয়ে যায়নি। অন্যদিকে ওই আওয়ামী লীগ নেতা শিমুকে তার ব্যক্তিগত চেম্বারে নিয়ে এসে টাকার বিনিময়ে তুলে দেন বাবা রফিকের হাতে। বাবার বাড়ি এসে শিমুকে এখন প্রতিদিন নির্যাতিত হতে হচ্ছে। কারও সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। সারাক্ষণ থাকতে হচ্ছে ঘরবন্দী। এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম জাহিদ ইকবাল বলেন, ‘বাল্যবিয়ের ব্যাপারে থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। থানা থেকে শিমুকে কেউ বের করে নিয়েও যায়নি। শুনেছি থানা গেটের চায়ের দোকানে একটি মেয়েকে নিয়ে হট্টগোল হয়েছিল।’ রানীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মৌসুমী আফরিদা বলেন, ‘আমি জানি না, মেয়েটাকে আমার কাছে পাঠিয়ে দিন।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর