শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় গয়াল শাবকের জন্ম

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় গয়াল শাবকের জন্ম

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় জন্ম নিয়েছে গয়াল শাবক। গতকাল সকাল ৮টায় শাবকটির জন্ম হয়। নতুন শাবকসহ বর্তমানে এ নিয়ে চিড়িয়াখানায় গয়ালের সংখ্যা দাঁড়াল চারটি। নতুন শাবকটি সুস্থ আছে। গয়াল বনগরু। এক সময় চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রচুর গয়াল পাওয়া যেত।  এখন গহিন অরণ্যে মাঝে মধ্যে ধরা পড়ে।    

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যসচিব মোহাম্মদ রুহুল আমীন বলেন, চিড়িয়াখানার নতুন শাবকটি স্ত্রী লিঙ্গের। গত বছর একটি পুরুষ গয়াল শাবকের জন্ম হয়েছিল। এ নিয়ে চিড়িয়াখানায় গয়ালের সংখ্যা দাঁড়াল চারটি। এর মধ্যে দুটি পুরুষ ও দুটি স্ত্রী শাবক। নতুন শাবকটিও সুস্থ আছে। শাবকগুলোর কারণে চিড়িয়াখানার সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে। জানা যায়, ১৯৮৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের তৎকালীন জেলা প্রশাসক  মানুষের বিনোদন, শিশুদের শিক্ষা এবং গবেষণার জন্য নগরের খুলশিস্থ ফয়েজ লেকের পাশে ৬ একর জমির উপর চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা প্রতিষ্ঠা করেন।

দেশে প্রথমবারের মতো নিজস্ব প্রযুক্তিতে উদ্ভাবিত ইনকিউবেটরে অজগরের ২৬টি বাচ্চা ফোটানো হয়েছে এ চিড়িয়াখানায়। করোনাকালে জন্ম নিয়েছে বিভিন্ন শ্রেণির ১০০ প্রাণী। চিড়িয়াখানায় আছে দেশের একমাত্র দুর্লভ সাদা বাঘ। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে আনা হয়েছিল একটি বাঘ ও একটি বাঘিনী। আছে জেব্রা, সিংহ, হরিণ, ভালুক, বানর, কুমির। আছে ন্যাচারাল মিনি এভিয়ারি (পক্ষীশালা)। ৬০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২৫ ফুট প্রস্থের পক্ষীশালায় আছে ৬ প্রজাতির ৩০০ পাখি। পাখির মধ্যে আছে, লাভ বার্ড ২০  জোড়া, লাফিং ডাভ ৫০ জোড়া, ফিজেন্ট ১০ জোড়া, রিংনেড পারোট ১০, কোকাটেইল ৫০ ও ম্যাকাও ১ জোড়া। শিশুদের জন্য তৈরি করা হয়েছে কিডস জোন। দৃষ্টিনন্দন করা হয়েছে অভ্যন্তরীণ পথগুলো। বর্তমানে চিড়িয়াখানায় ৩৬০ প্রজাতীর প্রাণী আছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর