শনিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

বিকল্প মূল্যায়ন পদ্ধতি উদ্ভাবন করতে হবে

-আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক

জিন্নাতুন নূর

বিকল্প মূল্যায়ন পদ্ধতি উদ্ভাবন করতে হবে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, করোনা সংক্রমণের এই সময়টা যদি আরও দীর্ঘায়িত হয় তাহলে আমরা আশা করব শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট বিভাগ, সরকার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সবাই মিলে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের জন্য কোনো না কোনো একটি পথ উদ্ভাবন করবে। আর সেই মূল্যায়ন যে পাবলিক পরীক্ষার মতো বিস্তারিত হতে হবে এমন নয়। শিক্ষার্থীদের সিলেবাসের ওপর সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন করে পরীক্ষা করা যায়। আর এই প্রক্রিয়া অনলাইনে হতে পারে। অর্থাৎ কোনো না কোনো পদ্ধতি বের করতে হবে। স্বাভাবিক সময়ে যে পরীক্ষা নেওয়া হতো তার বিকল্প মূল্যায়ন পদ্ধতি বের করতে হবে। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের এই অনিশ্চয়তা যে কবে নাগাদ কাটবে তা বলা মুশকিল। করোনা পরিস্থিতি সার্বিকভাবে সারা পৃথিবীকেই অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। আমরা ধারণা করেছিলাম যে, এখন আমরা আশা করব শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট বিভাগ, সরকার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সবাই মিলে সংক্রমণের মাত্রা কমাবে। কিন্তু সংক্রমণের মাত্রা উল্টো পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বেড়ে চলেছে। বাংলাদেশেও দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কার আশঙ্কা জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা করছেন। সাধারণত আমরা যেটা বুঝতে পারছি পাবলিক পরীক্ষা নিতে না পারার ফলে শিক্ষার্থীদের ওপর মানসিক চাপ বাড়ছে। তারা পরীক্ষা কীভাবে দেবে দুশ্চিন্তায় আছে। তাদের শিক্ষাজীবন অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেছে। তার মধ্যেও আমি মনে করি আমাদের শিক্ষার্থীদের হতাশ হলে চলবে না। তাদের আশার কথাই আমাদের বলতে হবে। পৃথিবী থমকে গেছে, আমাদের শিক্ষা কার্যক্রমও থেমে গেছে। লক্ষ্য রাখতে হবে আমাদের শিক্ষার্থীরা কোনোভাবেই যেন মানসিক চাপ অনুুভব না করে। কারণ জীবন প্রথমে, তারপর জীবিকা, শিক্ষা অন্যান্য বিষয়। জীবন রক্ষার খাতিরে যতদিন প্রয়োজন আমরা স্বাভাবিক কাজকর্মে ফিরে যেতে পারব না। শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাও এ জন্য নেওয়া যাচ্ছে না, তাদের সিলেবাস শেষ করা যাচ্ছে না। ঢাবির সাবেক উপাচার্য বলেন, করোনার এই প্রভাব খুব সহজেই থেমে যাবে না। এই রোগের ওষুধ বের হলেও নতুন যে বাস্তবতা আসবে তার জন্য অনেক কিছু নতুন করে করতে হবে। এ জন্য শিক্ষার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ইনোভেশন প্রয়োজন হবে। আমরা দেখেছি যে আমেরিকাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর সঙ্গে সঙ্গেই তা আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়। ডরমিটরি বন্ধ করে দেওয়া হয় কারণ ছেলেমেয়েরা কোনোভাবেই দূরত্ব মানছিল না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে এখন সবচেয়ে বেশি ইনোভেটিভ এপ্রোচ নিতে হবে। অনেক বেশি সৃজনশীলতার স্বাক্ষর তাদের রাখতে হবে। পরীক্ষা, শ্রেণিকক্ষ, ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া এ ধরনের কার্যক্রম কোনোভাবেই বন্ধ রাখা যাবে না। অনলাইনে বর্তমানে শিক্ষা কার্যক্রম চললেও সেটা তেমন কার্যকর হচ্ছে না। একে কীভাবে আরও কার্যকর করা যায় সেদিকেও নজর দেওয়া প্রয়োজন।

সর্বশেষ খবর