শিরোনাম
শনিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা
কৃষি

এক একর খেতে ৭৪ জাতের ধান

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

এক একর খেতে ৭৪ জাতের ধান

এক একর জায়গা। শোভা পাচ্ছে ছোট ছোট সাইন বোর্ড। তাতে লেখা ধানের জাতের নাম। এক একর জায়গাতেই রোপণ করা হয়েছে ৭৪ জাতের ধান। রাজশাহীর তানোর উপজেলার গোল্লাপাড়ার নূর মোহাম্মদ এই ধান চাষ করেছেন। এলাকায় তিনি আদর্শ কৃষক হিসেবে পরিচিত। মানুষের মুখে মুখে নানা জাতের ধান চাষে তার সফলতার গল্প।

সরেজমিনে দেখা যায়, সেখানে লাল, বেগুনি, সোনালী, সবুজ, খয়েরি, সাদাগুটিসহ নানা জাতের ধানে ভরপুর পুরো খেত। শুরুতেই যে কেউ দেখলে ভাববেন, এটি বিজ্ঞানীদের কোনো প্রদর্শনী প্লট। কিন্তু না, এটি গ্রামের প্রান্তিক কৃষক নূর মোহাম্মদের নিজস্ব ধান গবেষণা প্রদর্শনী প্লট। তিনি সঙ্করায়ণ করে বিভিন্ন প্রজাতির একের পর এক নতুন ধান উদ্ভাবন করছেন।

নূর মোহাম্মদ তার নতুন জাতের ধানের উদ্ভাবনের স্বীকৃতিস্বরূপ রাষ্ট্রীয় স্বর্ণপদকসহ পেয়েছেন একাধিক পুরস্কার। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) ফলিত গবেষণা বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. বিশ্বজিৎ কর্মকার তার খেত পরিদর্শন করে বলেন, ‘সঙ্করায়ণ করে একের পর এক নতুন ধান উদ্ভাবনে অভিজ্ঞ হয়ে উঠেছেন প্রান্তিক কৃষক নূর মোহাম্মদ। তার উদ্ভাবিত এই ধান, জাত হিসেবে স্বীকৃতির অপেক্ষায় আছে।’

কৃষক নূর মোহাম্মদ বলেন, চলতি রোপা আমন মৌসুমে এক একর জমিতে ৭৪ জাতের ধান সঙ্করায়ণের মাধ্যমে উদ্ভাবন করছেন। এর মধ্যে নতুন প্রজাতির একটি জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। তিনি বলেন, সবগুলো ধানই পাক ধরেছে, এর মধ্যে কিছু ধান কাটা হয়েছে। বাকিগুলোও প্রদর্শনের পর কাটা হবে। ধানের নম্বর প্লেট দেওয়া হয়েছে। খেতের এসব ধান কৃষি কর্মকর্তারা দেখে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন করবেন কোনো কোনো জাতকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামিমুল ইসলাম বলেন, স্বশিক্ষিত এই ধান গবেষক নূর মোহাম্মদ দেশের সম্পদ ও গর্ব। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন প্রজাতির ধান নিয়ে নিজে থেকেই কাজ করছেন। কৃষি অফিস সব সময়ই নূর মোহাম্মদকে সব ধরনের সহযোগিতা করে আসছে। তিনি আরও বলেন, তার প্লট ধান বিজ্ঞানীদের পরিদর্শন করানো হয়েছে। অন্য বিজ্ঞানীরাও তার প্লট পরিদর্শনে আসার কথা আছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর