সোমবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

প্রস্তুত ১৯৬ পৌরসভার ভোট কেন্দ্র

চলতি সপ্তাহে হতে পারে তফসিল, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে প্রথম ধাপের ভোট

গোলাম রাব্বানী

প্রস্তুত ১৯৬ পৌরসভার ভোট কেন্দ্র

দেশব্যাপী পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠানে ভোট কেন্দ্র প্রস্তুত করার নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। গতকাল ১৫ নভেম্বরের মধ্যে ১৯৬ পৌরসভার সব ভোট কেন্দ্রের তালিকা প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী ভোট কেন্দ্রের তালিকা প্রস্তুত করেছে ইসির কর্মকর্তারা। একইসঙ্গে তফসিল ঘোষণার পর দুই দিনের মধ্যে ভোট কেন্দ্রের তালিকা নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পাঠাতেও বলা হয়েছে। এদিকে গত ১১ নভেম্বর ১৯৬ পৌরসভার ভোটার তালিকার সিডি সংগ্রহ করেছেন সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তারা। তারা জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগ থেকে এই ভোটার তালিকার সিডি সংগ্রহ করেছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন পৌরসভায় ইতিমধ্যে ভোট কেন্দ্রের খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে কিশোরগঞ্জ জেলার কিশোরগঞ্জ, হোসেনপুর, কটিয়াদী, করিমগঞ্জ, বাজিতপুর, কুলিয়ারচর এবং ভৈরব পৌরসভায় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য গত ১০ নভেম্বর ভোট কেন্দ্রের খসড়া প্রকাশ করা হয়। দাবি আপত্তি শেষে গতকাল এসব পৌরসভার ভোট কেন্দ্রের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। একইভাবে দেশের বিভিন্ন পৌরসভায় ভোট কেন্দ্রের তালিকাও প্রস্তুত করা হয়েছে। ইসি জানিয়েছে, এবার ধাপে ধাপে অনুষ্ঠিত হবে পৌরসভা নির্বাচন। আগামী ডিসেম্বরে প্রথম ধাপে ২০/২৫ পৌরসভায় ভোট গ্রহণ হবে। এ জন্য চলতি সপ্তাহের যে কোনো দিন এসব নির্বাচনের তফসিল দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কয় ধাপে ভোট হবে তা চূড়ান্ত না হলেও মে মাসের মধ্যে সব পৌরসভায় ভোট শেষ করতে চায় কমিশন। তবে অধিকাংশ পৌরসভা নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সাংবিধানিক এই সংস্থাটি। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের সভা শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা সাংবাদিকদের এসব সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি বলেন, আগামী জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে পৌরসভাসহ যেসব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের মেয়াদ শেষ হবে, সেসব প্রতিষ্ঠানে ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ ভোট নেওয়া হবে। এই ধাপে ২০/২৫টি পৌরসভায় ভোট হতে পারে।

সিইসি বলেন, পৌরসভায় ভোট নেওয়া হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। তবে ইউনিয়ন বা উপজেলা পরিষদের সব নির্বাচন ইভিএমে করা সম্ভব হবে না। কিছু সংখ্যক নির্বাচন হয়তো ইভিএমে হবে। এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, কয়েকটি ধাপে পৌর নির্বাচন করতে হবে। হয়তো পাঁচটি ধাপে হতে পারে। তবে কয় ধাপে হবে তা এখনো ঠিক হয়নি।

নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, পৌরসভা গঠনের পর প্রথম সভা থেকে পৌরসভায় মেয়াদ শুরু হয়। একেকটি পৌরসভার প্রথম বৈঠক একেক সময়ে হয়েছে। সব পৌরসভার মেয়াদ একসঙ্গে পূর্ণ হবে না। যে কারণে সব পৌরসভায় একসঙ্গে নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, মেয়াদ উত্তীর্ণের সঙ্গে নির্বাচনের সম্পর্ক। একইসঙ্গে অনেক নির্বাচন থাকলেও যেহেতু আমরা ইভিএমে ভোট করতে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা ও লোকবলের বিষয় আছে। এ কারণে তিন থেকে চারটি ধাপে ভোট করব। তবে কয় ধাপে হবে, সেই সিদ্ধান্ত এখনো আমরা নেইনি। সবকটিতে (ইভিএমে ভোট) না বলে যতদূর সম্ভব বলতে চাচ্ছি। কোনো কারণে দুই-চারটা যদি না করতে পারি। তবে নীতিগতভাবে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ইভিএমে হবে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেন, আমরা চাচ্ছি পৌরসভা নির্বাচন ইভিএমে করব। এ জন্য আমাদের ইভিএমে ক্যাপাসিটিটা দেখতে হবে। আমরা একসঙ্গে কতগুলোর ভোট করতে পারব। ডিসেম্বরের পর ফেব্রুয়ারিতে হয়তো আমাদের কিছুসংখ্যক নির্বাচন হবে।

সর্বশেষ খবর