মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

তৃণমূল থেকে সংগঠন শক্তিশালী করা হচ্ছে

--------- জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু

তৃণমূল থেকে সংগঠন শক্তিশালী করা হচ্ছে

জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও সাবেক মন্ত্রী জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেছেন, আমাদের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের নেতৃত্বে পার্টি ঐক্যবদ্ধ। সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিনিয়ত কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি বলেন, আটটি বিভাগে আটটি বিভাগীয় টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিমের নেতৃত্বে রয়েছেন পার্টির আটজন সাংগঠনিক নেতা। তাদের অতিরিক্ত মহাসচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই টিমের নেতারা প্রতিনিয়ত সংশ্লিষ্ট বিভাগের জেলাগুলো সফর করছেন। এই সফরের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যন্ত আমরা সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছি।

গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে একথা বলেন তিনি।

জিয়াউদ্দিন বাবলু বলেন, সফরগুলোয় পার্টির চেয়ারম্যানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকছেন। কিছু কিছু সমাবেশে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখছি। এ ছাড়া পার্টির চেয়ারম্যানসহ আমরা নিয়মিত বনানী এবং কাকরাইলে দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সঙ্গে সভা-সমাবেশ চালিয়ে যাচ্ছি। আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আমাদের চলমান সফর অব্যাহত থাকবে। প্রত্যেক জেলায় সংগঠনকে পুনর্গঠন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের টার্গেট আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনে ১৫১ আসন টার্গেট নিয়ে আমরা মাঠে নেমেছি।

জিয়াউদ্দিন বাবলু বলেন, আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা নিয়ে ব্যস্ত। তাদের সাংগঠনিক তৎপরতা নেই। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রাজনীতি থেকে দূরে থাকার মুচলেকা দিয়ে জেলের বাইরে আছেন। তাদের নেতৃত্বে দেউলিয়াত্ব প্রকাশ পেয়েছে। অন্যদিকে জাতীয় পার্টি ঐক্যবদ্ধ। ৩০ বছরে আওয়ামী লীগ-বিএনপির ক্ষমতার পালাবদলে যে রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন হয়েছে তার চেয়ে অনেক বেশি উন্নয়ন হয়েছে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নয় বছরের শাসনামলে। এরশাদ জমানায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো ছিল। দলবাজি ছিল না। আইনের শাসন ছিল। পল্লীবন্ধু এরশাদ ঘোষণা করেছিলেন, জল যার জলা তার। প্রান্তিক জেলেদের জীবন মান উন্নয়নে পল্লীবন্ধু অসাধারণ উদ্যোগ বাস্তবায়িত করেছিলেন। এখন গ্রামাঞ্চলের ছোট ছোট জলাশয়ও ক্ষমতাসীনদের দখলে। আবার গ্রাম্য বাজারে মাছ বিক্রি করতেও ক্ষমতাসীনদের টোল দিতে হয়। এটা সভ্য সমাজে বেমানান। দেশ থেকে  কোটি কোটি টাকা পাচার হচ্ছে। অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের স্পৃহা কাজ করলে গণমানুষের জন্য ভালোবাসা তৈরি হয় না। তিনি উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, কোনো দেশে ৮ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকতে পারে না। হাট-বাজার, সিনেমা হলসহ সব প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে অটোপাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেশের মানুষ ভোটের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। দেশের মানুষ আর ভোট কেন্দ্রে যেতে চান না। গণতন্ত্রের স্বার্থেই মানুষকে ভোটের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে হবে। জি এম কাদেরের নেতৃত্বে আগামীতে রাষ্ট্র ক্ষমতায় গিয়ে আবারও দেশে আইনের শাসন ও উন্নয়ন প্রতিষ্ঠা করব ইনশাআল্লাহ।

সর্বশেষ খবর