ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল সকালে উপজেলার কু-া ইউনিয়নের মহিষবেড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম আক্কাস মিয়া (৪২)। তিনি মহিষবেড় কারি বাড়ির মারাজ মিয়ার ছেলে। অন্যদিকে, একই দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে নারীসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। সকালে উপজেলার চরইসলামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, পাওনা টাকা নিয়ে নাসিরনগরের মহিষবেড় কারি বাড়ির ইমাম হোসেনের সঙ্গে একই গ্রামের টোহাইন্না গোষ্ঠীর হোসেন আলীর বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কয়েকবার ঝগড়া ও মারামারির ঘটনা ঘটে। নাসিরনগর থানায় দুই পক্ষের মামলাও রয়েছে। গতকাল সকাল ৯টার পর কৃষক আক্কাস মিয়া জমিতে কাজ করতে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে টোহাইন্না গোষ্ঠীর লোকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা করে। এ খবর পেয়ে কারি বাড়ির লোকজন এগিয়ে এলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। আধঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১০-১২ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে আক্কাস মিয়াকে গলায় ফলাবিদ্ধ অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে নাসিরনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিচুল হক বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি। এলাকার পরিস্থিতি শান্ত। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। এদিকে, বিজয়নগরের চরইসলামপুর গ্রামে চৌধুরী গোষ্ঠীর উত্তরপাড়া ও দক্ষিণপাড়ার লোকদের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে বিরোধ তৈরি হয়। গত রবিবার বিকালে দক্ষিণপাড়ার জামাল মিয়ার ছেলে ইকরাম উত্তরপাড়া এলাকায় গেলে সেখানকার মানুষ তাকে গালি-গালাজ করে। এ নিয়ে গতকাল সকাল ১০টার দিকে দক্ষিণপাড়ার লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উত্তরপাড়া ঘেরাও করে মারধর শুরু করে। এ সময় দুই পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ২০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে উত্তরপাড়ার ইউনুছ আলী (৩২), নোয়াজ আলী (৪৫), বাবুল (২২), তুরাব আলী (৪০), গোলাম আলী (৩০), আশেক মিয়া (৪২), উম্মর আলী (৫২), হুমায়ুন (২৫), তানিয়া (২৩), আক্কল আলী (১৮), ইয়াকুব (৩৫), দক্ষিণ পাড়ার তানিয়া বেগম (২০)-কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিজয়নগর থানার ওসি আতিকুর রহমান বলেন, ঝগড়ায় জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
