বুধবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

শালবন বিহার খুললেও দর্শনার্থী কম

কুমিল্লা প্রতিনিধি

শালবন বিহার খুললেও দর্শনার্থী কম

কুমিল্লার শালবন বৌদ্ধ বিহার ও ময়নামতি জাদুঘর চালু হলেও দর্শনার্থীদের তেমন সাড়া নেই। দর্শনার্থী কমেছে প্রায় ১০ গুণ। বন্ধের আগে মার্চ মাসের ১৬ দিনে আসে ৯০ হাজার দর্শনার্থী, সেখানে বন্ধের পরে সেপ্টেম্বর মাসে ১৫ দিনে দর্শনার্থী আসে মাত্র আট হাজার। অন্য সময় শীত, ঈদ আর বিভিন্ন উৎসবে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় থাকত। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে দর্শনার্থী নেই বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। সূত্র জানায়, ফেব্রুয়ারি মাসে দর্শনার্থী আসে ১ লাখ ৯৮ হাজার, রাজস্ব আয় হয় ২৬ লাখ। মার্চ মাসের ১৬ তারিখ পর্যন্ত শালবন বিহার চালু থাকে। ১৬ দিনে আসে ৯০ হাজার দর্শক, আয় ১১ লাখ টাকা। করোনার বন্ধের পরে ১৬ সেপ্টেম্বর শালবন বিহার পুনরায় চালু করা হয়। ওই মাসের ১৫ দিনে আসে ৮ হাজার ৬০৬ জন দর্শনার্থী। আয় হয় ১ লাখ ৭৯ হাজার। অক্টোবর মাসে দর্শনার্থী আসে ২২ হাজার, আয় ৪ লাখ ৩৫ হাজার। ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত আসে ১৭ হাজার দর্শনার্থী। আয় হয় প্রায় তিন লাখ টাকা। সূত্রমতে, কুমিল্লা মহানগর থেকে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে শালবন বিহার। এখানে অষ্টম শতকের পুরাকীর্তি রয়েছে। রয়েছে ময়নামতি যাদুঘর। ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কুমিল্লা আসার জন্য রেল ও সড়কপথে যাতায়াতের সুব্যবস্থা থাকায় দর্শনার্থীরা এখানে সহজে আসতে পারেন। শালবন বিহারে গিয়ে দেখা যায়, শেষ বিকাল। টিকিট কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা আবদুল মালেক দর্শনার্থীদের বলছেন ৫টা পর্যন্ত চালু থাকবে। বিকালের আলো আকাশি গাছের পাতা ভেদ করে ছড়িয়ে আছে অষ্টম শতকের পুরাকীর্তি শালবন বিহারের ওপর। বিহারের পাশে পাতা বাহার আর মুসু-া ফুল তার শোভা ছড়িয়ে দিলেও এই রূপ দেখার কেউ নেই। অল্প কিছু দর্শনার্থী ঘুরছেন, স্বজনদের সঙ্গে ছবি ও সেলফি তুলছেন। জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন আল-আমিন। তার বাড়ি সুনামগঞ্জে। তারা চারজন বন্ধু শালবন বৌদ্ধ বিহারে ঘুরতে এসেছেন। তিনি বলেন, শালবন বৌদ্ধ বিহার এলাকাটি অনেক সুন্দর। পুরাকীর্তি দেখার সঙ্গে সঙ্গে এখানে সবুজের সতেজতায় প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নেওয়া যায়। এখানে প্রয়োজনীয় হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ ও বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হলে দর্শনার্থীদের আগ্রহ বাড়বে। ব্যাংকার জয়নাল আবেদিন রনি বলেন, শালবন বিহারসহ অন্যান্য প্রতœতাত্ত্বিক স্থানগুলো বেড়ানোর মতো দারুণ জায়গা। তবে শুধু বেড়ানো নয়, এখানে জানার অনেক কিছু আছে। শালবন বিহারে কুমিল্লা ও বাংলাদেশের যে সমৃদ্ধ অতীতের স্বাক্ষর বহন করে তা জানতে কেউ আগ্রহ প্রকাশ করে না। এখানে বিশ্ববিদ্যালয় ছিল তাও অনেকে জানেন না। এগুলো সুরক্ষিত করা গেলে সরকারের রাজস্ব আয় আরও বাড়বে। ময়নামতি জাদুঘর ও শালবন বিহারের কাস্টোডিয়ান মো. হাসিবুল হাসান সুমি জানান, শীত মৌসুমে আমাদের উল্লেখযোগ্য আয় হয়। তবে করোনার কারণে দর্শনার্থীদের ভিড় কম। তবে আমরা আশাবাদী দর্শনার্থী ধীরে ধীরে বাড়বে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর