বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

বেড়েছে শনাক্ত ও মৃত্যুর হার

২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ২১১১, মৃত্যু ২১

নিজস্ব প্রতিবেদক

বেড়েছে শনাক্ত ও মৃত্যুর হার

শীত আসতে না আসতেই ফের ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে করোনাভাইরাস। দুই মাসেরও বেশি সময় দেশে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দেড় হাজারের আশপাশে থাকলেও গতকাল টানা তৃতীয় দিনের মতো দুই হাজারের বেশি রোগী শনাক্তের খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। সেই সঙ্গে ওঠানামা করছে মৃত্যুর সংখ্যাও। গতকাল নতুন করে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগের দিন মারা যান ৩৯ জন, যা ছিল গত ৫৮ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ। এতে সংক্রমণের দ্বিতীয়  ঢেউয়ের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন  দেশে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় শীতে বাংলাদেশেও সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিষয়ে সতর্ক করে আসছিলেন বিশেষজ্ঞরা। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যে দেখা গেছে, সংক্রমণ হারও গত কয়েকদিন ধরে বাড়তে শুরু করেছে। দুই মাস ধরে শনাক্তের হার ১১ শতাংশের আশপাশে ছিল। গত ১২ নভেম্বর শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৭৮ শতাংশ থাকলেও পরদিনই তা ১৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। এরপর থেকে ১৩ শতাংশের আশপাশে রয়েছে শনাক্তের হার। গতকাল ছিল ১২ দশমিক ৮২ শতাংশ। এর আগের দিন ছিল ১৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সবশেষ তথ্য তুলে ধরা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ১১১ জনের দেহে। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ হাজার ৮৯৩ জন। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৬ হাজার ২৭৫ জন। রোগী শনাক্ত হয়েছে মোট ৪ লাখ ৩৮ হাজার ৭৯৫ জন। সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৫৪ হাজার ৭৮৮ জন। এদিকে ফের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিদিন সুস্থতার তুলনায় লম্বা হচ্ছে শনাক্তের তালিকা। তবে ফাঁকাই থাকছে কভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোর শয্যা। গতকাল পর্যন্ত মৃত ও সুস্থ রোগী বাদে দেশে সক্রিয় করোনা রোগী ছিল ৭৭ হাজার ৭৩২ জন। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন মাত্র ২ হাজার ৯৭০ জন। অধিকাংশ রোগী বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নেওয়ায় হাসপাতালগুলোর ১১ হাজার ৪৫৯টি সাধারণ শয্যার মধ্যে ৮ হাজার ৭৮০টি শয্যা গতকাল ফাঁকা ছিল। এছাড়া ৫৫৯টি আইসিইউর মধ্যে ফাঁকা ছিল ২৬৮টি।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ হাজার ৪৬৯টি নমুনা পরীক্ষায় ১২ দশমিক ৮২ শতাংশ মানুষের দেহে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮০ দশমিক ৮৬ শতাংশ ও মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২১ জনের মধ্যে ১৪ জন ছিলেন পুরুষ ও ৭ জন নারী। সবারই মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে। বয়স বিবেচনায় মৃতদের মধ্যে ১৩ জনই ছিলেন ষাটোর্ধ্ব, ৬ জন পঞ্চাশোর্ধ্ব, ১ জন ত্রিশোর্ধ্ব ও ১ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম। এর মধ্যে ১৩ জন ঢাকা, ৩ জন চট্টগ্রাম, ২ জন খুলনা এবং ১ জন করে ছিলেন রাজশাহী, বরিশাল ও রংপুর বিভাগের।

বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয় ও ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

সর্বশেষ খবর