দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ হার গত এক সপ্তাহ ধরে আবারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার ৬০৭টি নমুনা পরীক্ষায় ২ হাজার ২৭৫ জনের দেহে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ, যা ৭৬ দিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। গত ৫ সেপ্টেম্বরের চেয়ে বেশি ১৫ দশমিক ১৮ শতাংশ শনাক্ত হারের তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। এর পর সংক্রমণ হার কমতে কমতে ২৪ অক্টোবর ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশে নেমে আসে। এতে মানুষের মধ্যে স্বস্তির সৃষ্টি হলেও শীত পড়তেই সংক্রমণ হার বৃদ্ধি আবারও শঙ্কার জন্ম দিয়েছে।
গতকাল নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সবশেষ তথ্য তুলে ধরে স্বাস্থ্য অধিদফতর। বিজ্ঞপ্তির তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের, যা আগের দিনের চেয়ে কম। তবে সংক্রমণ হার আগের দিনের চেয়ে ১ শতাংশের বেশি বেড়েছে। গত এক দিনে ২ হাজার ২৭৫ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ায় দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৪৩৪। মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬ হাজার ৩২২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৭০৯ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৪৩১ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮০ দশমিক ৮৩ শতাংশ ও মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
এদিকে গত ১২ নভেম্বর শনাক্তের হার ছিল ১০ দশমিক ৭৮ শতাংশ। পরদিনই তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৩ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশে। এরপর থেকে গতকাল পর্যন্ত দুই দিন ১৩ শতাংশের সামান্য নিচে নামলেও অন্য দিনগুলোতে শনাক্তের হার ১৩ শতাংশের ওপরে ছিল। গতকাল তা ১৪ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৭ জনের মধ্যে ১১ জন ছিলেন পুরুষ ও ৬ জন নারী। সবার মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে। বয়স বিবেচনায় মৃতদের মধ্যে ১০ জনই ছিলেন ষাটোর্ধ্ব। এ ছাড়া দুজন পঞ্চাশোর্ধ্ব, দুজন চল্লিশোর্ধ্ব, একজন ত্রিশোর্ধ্ব, একজন বিশোর্ধ্ব ও একজনের বয়স ছিল ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে। এর মধ্যে ১২ জন ঢাকা, দুজন রংপুর এবং একজন করে চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও সিলেট বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। অধিকাংশ রোগী বাড়িতে চিকিৎসা নেওয়ায় গতকালও কভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোর ৭৪ শতাংশের বেশি শয্যা খালি ছিল। বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয় ও ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর।