লালমনিরহাটের বুড়িমারীতে শহিদুন্নবী জুয়েলকে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় দায়ের করা তিন মামলায় রাসেল ইসলাম রাজ ওরফে বিশু (২২) নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ৩৫ জন গ্রেফতার হলেন।
গতকাল দুপুরে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক। গ্রেফতার রাসেল লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের জুম্মাপাড়া এলাকার হামিদুল ইসলামের ছেলে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি ওমর ফারুক বলেন, বহুল আলোচিত জুয়েল হত্যা মামলায় দায়ের করা তিন মামলার অজ্ঞাতনামীয় আসামি রাসেলকে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে পাটগ্রাম কলেজ মোড় এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। দায়ের করা তিনটি মামলায় তদন্তে সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়ায় রাসেলকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেফতার রাসেলকে বিকালে আদালতে সোপর্দ করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। এদিকে এ মর্মান্তিক হত্যাকা-ের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ৩৫ জনকে গ্রেফতার করা হলো। যার মধ্যে ১২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। এর মধ্যে মূলহোতা বুড়িমারী ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি আবুল হোসেন ওরফে হোসেন ডেকোরেটর এবং মসজিদের খাদেম জোবেদ আলীসহ চারজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলেও জানান ওসি ওমর ফারুক।এর আগে গত ২৯ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) রাতে পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ চত্বরে ওই হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক শহিদুন্নবী জুয়েল রংপুর শহরের শালবন মিস্ত্রিপাড়ার আবদুল ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে। তিনি রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক গ্রন্থাগারিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক ছাত্র। গত বছর চাকরিচ্যুত হওয়ায় কিছুটা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন তিনি।