নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জে এক ফুটফুটে নবজাতককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকালে তাকে উপজেলার চাঁদখানা ইউনিয়নের দক্ষিণ চাঁদখানা দহবন গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কে বা কারা ছেলে নবজাতককে দক্ষিণ চাঁদখানা দহবন গ্রামের একটি ধানখেতে ফেলে যায়। সকালে বিষাদু মহন্ত নামের স্থানীয় এক কৃষক বাচ্চার কান্না শুনে ধানখেতে গিয়ে নবজাতকটিকে কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় দেখতে পান। তখন ওই কৃষক তার স্ত্রী রাধা রানী মহন্তকে ডেকে এনে নবজাতককে কোলে তুলে নেন। আশপাশে খোঁজ করলেও শিশুটির পরিবারের সন্ধান না পেয়ে তারা দুপুরে বিষয়টি পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে নবজাতকটিকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালে নবজাতকটির সঙ্গে রাধা রানী মহন্তসহ নারী পুলিশ সদস্য রয়েছে। নবজাতক উদ্ধারের ঘটনা জানাজানি হলে উৎসুক মানুষ হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ভিড় জমায়। স্থানীয় ব্যক্তিদের ধারণা, নবজাতকের বয়স এক থেকে দুই দিন হতে পারে। রাধা রানী মহন্ত জানান, আমার সাড়ে তিন মাস বয়সের এক মেয়ে রয়েছে। কুড়িয়ে পাওয়া নবজাতককে আমি আমার স্তনের দুধ পান করিয়ে রেখেছি। ছেলে সন্তানটি আমাকে দেওয়ার জন্য পুলিশের কাছে অনুরোধ করেছি। হয়তো সৃষ্টিকর্তা আমাকে বরদান হিসেবে এই ছেলে দিয়েছেন। কিশোরীগঞ্জ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মোকলেছুর রহমান জানান, নবজাতকটি সুস্থ আছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কিশোরীগঞ্জ থানার ওসি আবদুল আউয়াল জানান, কে বা কারা শিশুটিকে ফেলে গেছে। তাকে উদ্ধার করে আপাতত উপজেলা হাসপাতালে রাখা হয়েছে। শিশুটিকে কেউ দত্তক নিতে চাইলে আদালতের মাধ্যমে নিতে হবে। এ বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন দেওয়া হচ্ছে।
