দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ হার বাড়তে বাড়তে ফের ১৫ শতাংশ ছুঁই ছুই করছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৮৭০টি নমুনা পরীক্ষায় ২ হাজার ৬০ জনের দেহে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৮৫ শতাংশ। গত ৫ সেপ্টেম্বর এর চেয়ে বেশি ১৫ দশমিক ১৮ শতাংশ শনাক্ত হারের তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। এর পর সংক্রমণ হার কমতে কমতে ২৪ অক্টোবর ১০ শতাংশের নিচে নেমেছিল। তবে ১৩ নভেম্বর থেকে ফের বাড়তে শুরু করেছে ভাইরাসটির দাপট। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দেশে করোনা সংক্রমণের সবশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। বিজ্ঞপ্তির তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৩৮ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনায় ৬ হাজার ৩৮৮ জনের মৃত্যুর তথ্য জানা গেল। এখন পর্যন্ত সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৪১ জনের দেহে। গত এক দিনে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৭৬ জন। এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৬২ হাজার ৪২৮ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮১ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ ও মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩৮ জনের মধ্যে ২৮ জন ছিলেন পুরুষ ও ১০ জন নারী। সবারই মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে। বয়স বিবেচনায় মৃতদের মধ্যে ১৯ জনই ছিলেন ষাটোর্ধ্ব। এ ছাড়া ১০ জন পঞ্চাশোর্ধ্ব, ৪ জন চল্লিশোর্ধ্ব, ৪ জন ত্রিশোর্ধ্ব ও ১ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম। এর মধ্যে ২৮ জন ঢাকা, ৩ জন চট্টগ্রাম, ২ জন খুলনা, ২ জন ময়মনসিংহ এবং ১ জন করে রাজশাহী, বরিশাল ও রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয় ও ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনে সর্বোচ্চ। ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনে সর্বোচ্চ।
