শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

রপ্তানিতে অর্ডারের গতি কমেছে

-এ কে আজাদ

রপ্তানিতে অর্ডারের গতি কমেছে

দেশে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম খাত রপ্তানিতে ক্রেতারা অর্ডারের গতি কমিয়ে দেওয়ার তথ্য দিয়েছেন ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ। তিনি বলেছেন, করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ধাক্কায় লকডাউনের প্রয়োজন নেই। নেই আতঙ্ক। তবে করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ওয়েব বা ধাক্কা দীর্ঘস্থায়ী হলে ব্যবসায়ীদের ক্ষতি অনেক বেড়ে যাবে বলে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানিয়ে এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, এত দিন অর্ডার মোটামুটি ভালোই ছিল। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অর্ডার নেতিবাচক হচ্ছে। যদিও সার্বিক পরিস্থিতি খারাপ ছিল না। কিন্তু এখন আমরা  এক ধরনের ধূম্রজালের মধ্যে আছি। কিছু বুঝতে পারছি না। এত দিন অর্ডার বেড়ে ছিল। বিক্রিও বেড়েছে। ফলশ্রুতিতে আমরা মনে করেছিলাম, চালিয়ে যেতে পারব। কিন্তু ইউরোপে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ-বিসিআইর সাবেক এই সভাপতি বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা বা এসএমইর ঋণ সহসাই পাচ্ছেন না। তারা টাকা না পেলে সংকট আরও বাড়বে। এখানে সরকারের আরও বড় ধরনের ভূমিকা প্রয়োজন। দ্বিতীয় দফায় করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ইউরোপের বাজার স্থগিত হয়ে যাচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে স্টোরগুলো বন্ধ করে দিচ্ছে। যুক্তরাজ্য অনলাইন অর্ডারের পণ্যগুলো শুধু নিচ্ছে। ফ্রান্স ও জার্মানি অর্ডার কমিয়ে দিচ্ছে। এসব কিছু মিলিয়ে আমরা আতঙ্কের মধ্যে আছি। এ কে আজাদ বলেন, করোনাকালে সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় দেওয়া ঋণের মাত্র ২৪ শতাংশ পেয়েছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা বা এসএমইরা। এখানে সরকারের ভালো ভূমিকা নিতে হবে। এটা না হলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা বা এসএমইরা ঋণ পাবেন না। আবার অনেকে ঋণ ফেরত দিতে পারছে না। কিন্তু এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু নেই।

দেশের শীর্ষ তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হা-মীম গ্রুপের এই কর্ণধার বলেন, করোনাকালে প্রধানমন্ত্রীর সাহসী ও দৃঢ় পদক্ষেপে দেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে গতিশীলতা ফিরে এসেছে। যদিও কিছু খাত এখনো সম্পূর্ণ সচল হয়ে ওঠেনি। কিন্তু আশার কথা হলো, সরকারপ্রধান এ ব্যাপারে তীক্ষè দৃষ্টি রাখছেন এবং সময়ানুযায়ী দরকারি সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধা করছেন না।

এই শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতার মতে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ ব্যবসা-বাণিজ্যকে স্বাভাবিক করতে দেওয়া হয়েছিল এবং এটা সফল হয়েছে। বড় ব্যবসায়ীদের খুব একটা সমস্যা নেই। তারা কমবেশি ভালো আছেন। কিন্তু ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা-এসএমই খাত কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। তবে প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। ছোট ব্যবসায়ীদের পাশে ব্যাংকগুলো নেই। এক্ষেত্রে সরকারি ব্যাংকগুলো ভূমিকা রাখেনি। দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে। অনেক খাতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক কর্মকান্ড প্রায় সচল। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আছে। রপ্তানিও স্বাভাবিক হয়েছে।

সর্বশেষ খবর