বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

প্রণোদনা দ্বিতীয় ধাপে দিতে হবে

-ব্যারিস্টার নিহাদ কবির

প্রণোদনা দ্বিতীয় ধাপে দিতে হবে

করোনা মহামারীতে সরকার ঘোষিত প্রণোদনা ব্যবসায়ীদের মনোবল বাড়াতে এবং প্রাথমিকভাবে সংকট কিছুটা কাটিয়ে উঠতে ভালো কাজ করেছে বলে মনে করেন দেশের প্রাচীন বাণিজ্য সংগঠন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি-এমসিসিআই সভাপতি ব্যারিস্টার নিহাদ কবির। তার মতে, বর্তমান অবস্থাদৃষ্টে প্রণোদনা দ্বিতীয় ধাপেও মনে হচ্ছে দিতে হবে। এই প্রণোদনা এবার শিল্প খাতভিত্তিক হতে পারে, এমনকি প্রয়োজনে অঞ্চলভিত্তিকও হতে পারে।

গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এমসিসিআই সভাপতি ব্যারিস্টার নিহাদ কবির বলেন, সবার আগে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য  সচেতনতামূলক পদক্ষেপ সরকার বর্ধিত আকারে নিচ্ছে, যেটা ভালো। তবে আরও পদক্ষেপ নিতে হবে। নইলে ক্ষতি বাড়বে। এখন যত দ্রুত সম্ভব অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প খাতের উদ্যোক্তাদের বরাদ্দ হওয়া ঋণ ছাড় দিতে হবে। এজন্য সরকারকেই পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রয়োজনে ঝুঁকি সরকারকেই নিতে হবে। কারণ প্রথম ধাক্কায় যে অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে তার পুরোটা কাটেনি এবং এ পর্যায়ের ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষের সঞ্চয়ে টান পড়েছে।

তার মতে, দেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে এক ধরনের গতিশীলতা ফিরে এসেছিল। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিছু খাত এখনো সম্পূর্ণ সচল হয়ে ওঠেনি। আশার কথা হলো, সরকারপ্রধান এ ব্যাপারে তীক্ষè দৃষ্টি রাখছেন এবং সময়ানুযায়ী দরকারি সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধা করছেন না। দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে এ বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের তুলনায় ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে। অনেক খাতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক কর্মকান্ড ৯০ শতাংশের ওপরে সচল হয়েছিল। তবে চাহিদা এবং মূল্য, এ দুটি ক্ষেত্রেই একেবারে আগের সমপর্যায়ে এখনো ফিরে যাওয়া যায়নি। নভেম্বর মাস থেকে কিছুটা নিম্নগতি আবার পরিলক্ষিত হচ্ছে। তিনি বলেন, বছরের প্রথম দিকের ধাক্কা কাটিয়ে সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিয়ে সামনে পুনরায় এগিয়ে যেতে সময় এবং অনুকূল পরিবেশের দীর্ঘস্থায়িতা প্রয়োজন। এর জন্য সরকারি নীতি সহায়তা, আর্থিক সহায়তা দুটোই সহজীকরণ, দ্রুত বাস্তবায়ন, যথেষ্ট সময় এবং প্রয়োজনে ক্ষেত্রবিশেষে বর্ধিত করা দরকার। রপ্তানি-বাজার নির্ভর কিছু কারখানা নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে, এটাও বাস্তবতা।

এমসিসিআই সভাপতি বলেন, আমদানি-রপ্তানি এখনো আগের অবস্থানে সংগত কারণেই পৌঁছায়নি। কারণ আমদানি-রপ্তানির উৎস দেশগুলোর অর্থনীতির ওপর এবং কভিড পরিস্থিতির ওপর তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যের গতিপ্রকৃতি নির্ভরশীল। এ পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে। আশার কথা, হয়তো আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্যেই আমরা ভ্যাকসিন পেতে শুরু করব।

সর্বশেষ খবর