বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

পাপুলসহ চারজনের সম্পদের হিসাব চেয়ে দুদকের নোটিস

নিজস্ব প্রতিবেদক

লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুল এবং তার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি মো. আলতাপ হোসেন হাওলাদার, কাজী মো. জামশেদ কবির (বাকী বিল্লাহ) ও মো. ইসমাইল খোকনের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিস জারি করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে পৃথক নোটিস পাঠানো হয়েছে। সংস্থাটির পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার পাপুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম এমপি ও তার মেয়ে ওয়াইফা ইসলামের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিস জারি করে দুদক। দুদকের পরিচালক মো. আকতার হোসেন আজাদের সই করা নোটিসে উল্লিখিত ব্যক্তিদের এবং তাদের ওপর নির্ভরশীল মানুষদের নামে/বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও সম্পদ অর্জনের বিস্তারিত বিবরণ ২১ কার্যদিবসের মধ্যে নির্ধারিত ছকে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে ব্যর্থ হলে অথবা মিথ্যা বিবরণী দাখিল করলে দুদক আইনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে নোটিসে উল্লেখ করা হয়েছে। এর আগে ১১ নভেম্বর পাপুল, তার স্ত্রী সেলিনা ইসলাম এমপি, শ্যালিকা জেসমিন প্রধান এবং মেয়ে ওয়াইফা ইসলামের বিরুদ্ধে সংস্থাটির অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন মামলা করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৩১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ ও ১৪৮ কোটি টাকা লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে। জানা যায়, আসামিদের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৩১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ ও ১৪৮ কোটি টাকা লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের আড়ালে জেসমিন প্রধানের পাঁচটি হিসাবের মাধ্যমে ২০১২ সাল থেকে ২০২০ পর্যন্ত লন্ডারিং হয় ১৪৮ কোটি টাকা। অথচ মাত্র ২৩ বছর বয়সী জেসমিনের নিজের কোনো আয়ের উৎস নেই। অন্যদিকে এফডিআর হিসাবের ২ কোটি ৩১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৮ টাকার কোনো উৎস শ্যালিকা জেসমিন দাখিল করতে পারেননি। তাই অবৈধ সম্পদের অভিযোগে কাজী শহীদ ইসলাম পাপুল এবং তার স্ত্রী সেলিনা ইসলাম, শ্যালিকা জেসমিন প্রধান এবং মেয়ে ওয়াইফা ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর