শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

সংক্রমণে ৬ কোটি পার করল করোনা

প্রতিদিন ডেস্ক

বিশ্বে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৬ কোটির ‘মাইলফলক’ ছাড়িয়েছে। গতকাল সকাল পর্যন্ত এ সংখ্যা ছিল ৬ কোটি ২ লাখ। পাশাপাশি মৃতের সংখ্যাও ১৪ লাখ ১৭ হাজার ছাড়িয়ে যায়।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র।  দেশটিতে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি সাড়ে ২৯ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা হয়েছে ২ লাখ ৬৫ হাজার ৯৭০ জন। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ভারতের অবস্থান দ্বিতীয়। দেশটিতে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৯২ লাখ ২২ হাজার ২১৬। মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ৩৪ হাজার ৭৪৩ জন। এ ছাড়া ব্রাজিল আছে তৃতীয় অবস্থানে। দেশটিতে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৬১ লাখ ২১ হাজার ৪৪৯। মারা গেছেন ১ লাখ ৭০ হাজার ১৭৯ জন। তালিকায় ফ্রান্সের অবস্থান চতুর্থ। রাশিয়া পঞ্চম। স্পেন ষষ্ঠ। যুক্তরাজ্য সপ্তম। ইতালি অষ্টম। আর্জেন্টিনা নবম। কলম্বিয়া দশম। তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ২৫তম। আমেরিকার পরিস্থিতি : পরিস্থিতি সংকটজনক থেকে অতি সংকটজনক হয়ে উঠছে আমেরিকায়। বড় বড় শহরের সীমানা ছাড়িয়ে করোনা থাবা বসাচ্ছে প্রত্যন্ত অঞ্চল এবং গ্রামীণ এলাকাগুলোতেও। ফলে হাসপাতালগুলোতে আর তিল ধারণের জায়গা নেই। হন্যে হয়ে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালগুলোতে ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে কভিড রোগীদের। কভিড ট্র্যাকিং প্রজেক্ট নামে এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, আমেরিকার মিডওয়েস্টে ওহাইও এবং ডাকোটার মাঝে যেসব অঞ্চল রয়েছে সেখানে পরিস্থিতি ক্রমে খারাপ হচ্ছে। ওইসব অঞ্চলে প্রতিদিন দ্বিগুণেরও বেশি সংক্রমণ ধরা পড়ছে। জুনের মাঝামাঝি থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে মিডওয়েস্টের ওই অঞ্চলগুলোতে কভিডের সংখ্যা ২০ গুণ বেড়েছে। এ অবস্থায় ছোট ছোট হাসপাতালগুলোতে রেমডেসিভির এবং ডেক্সামেথাসনের মতো ওষুধ প্রয়োগ করা হচ্ছে। কিন্তু আইসিইউয়ের সুবিধা না থাকার কারণে অনেক সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে বলে স্বাস্থ্যকর্মীরা জানান। চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞরা কভিড সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির জন্য অনেক ক্ষেত্রে জনসাধারণকেই দায়ী করেছেন। ভয়ানক পরিস্থিতিতেও অনেকে মাস্ক ব্যবহার করছেন না। কোনো কভিড রোগীর মৃত্যু হলে তার যে তাতেই মৃত্যু হয়েছে এ কথা মানতে চাইছেন না রোগীর আত্মীয়রা। মধ্য-পশ্চিমের যে স্টেটগুলো রয়েছে সেখানে মাস্ক ব্যবহার এবং সামাজিক দূরত্বের বালাই নেই বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। যেমন নেব্রাস্কার গভর্নর জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর প্রশাসন মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করবে না।

ফলে সেখানেও মাস্ক নিয়ে একটা অনীহা তৈরি হয়েছে। সাউথ ডাকোটার গভর্নর ক্রিস্টি নোয়েম মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেননি। জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেননি। তিনি গোটা বিষয়টি জনসাধারণের নিজ নিজ দায়িত্বের ওপর বিষয়টি ছেড়ে দিয়েছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বার বার সতর্ক করার পরেও এই অঞ্চলগুলোতে মানুষের অভ্যাসে পরিবর্তন আনা যায়নি। ফলে আমেরিকা যে আরও শোচনীয় দিন দেখতে চলেছে সেই আশঙ্কাই প্রকাশ করছেন তাঁরা। এক চিকিৎসক আক্ষেপ করে বলেছেন, ‘মনে হচ্ছে আমরা ক্রমশ ডুবে যাচ্ছি।’

সর্বশেষ খবর