শনিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

পাহাড়ে কঠিন চীবরদান উৎসব

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

পাহাড়ে কঠিন চীবরদান উৎসব

মাসব্যাপী চলছে পাহাড়ে কঠিন চীবরদান উৎসব। লাখো পুণ্যার্থীর শ্রদ্ধায় সিক্ত পার্বত্যাঞ্চলের বিভিন্ন বিহারের ভিক্ষু সংঘ। মহাদানযজ্ঞের মধ্যদিয়ে শেষ হবে পার্বত্যাঞ্চলের এ কঠিন চীবরদান উৎসব।

গতকাল বিকাল ৩টায় কঠিন চীবরদান উৎসব উপলক্ষে রাঙামাটি রাজবন বিহার পরিণত হয় লোকারণ্যে। এ মহাপুণ্যানুষ্ঠানে সদ্ধর্মানুরাগী অগণিত পুণ্যার্র্থীর পাশাপাশি ঢল নামে হাজার হাজার দর্শনার্থীর। তবে করোনা সংক্রমণ এড়াতে রাঙামাটি রাজবন বিহার উপাসক-উপাসিকা পরিষদের পক্ষ থেকে নেওয়া হয় বিশেষ ব্যবস্থা। মাস্ক ছাড়া বিহারে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি কোনো পুণ্যার্থীকে।

সব ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায়ের লক্ষাধিক নারী-পুরুষের মহাসম্মিলনে পুরো বিহার জনসমুদ্রে পরিণত হয়। হাজারও মানুষের পদাভারে রাজপথ থেকে সমগ্র রাজবন বিহারে তিল ধারণের জায়গাটুকু অবশিষ্ট ছিল না। লাখো মানুষের কণ্ঠে সাধু সাধু সাধু ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয় পুরো রাজবন বিহার।

রাজবন বিহার মাঠে আয়োজিত ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পুণ্যার্থীদের উদ্দেশে দেশনা দেন রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবিরসহ শীর্ষ বৌদ্ধ ভিক্ষুরা। পঞ্চশীল প্রার্থনা করেন রাঙামাটি রাজবন বিহার উপাসক-উপাসিকা পরিষদের সভাপতি গৌতম দেওয়ান। পরে তিনি পরিনির্বাণগত বনভান্তের উদ্দেশে চীবর ভিক্ষুসংঘের হাতে তুলে দেন।

রাঙামাটি রাজবন বিহার উপাসক-উপাসিকা পরিষদের সভাপতি গৌতম দেওয়ান বলেন, উৎসব আগের মতো আছে, তবে করোনার জন্য আয়োজন সীমিত করা হয়েছে। এবার রাঙামাটি রাজবন বিহারে চীবর বুনন উৎসব হয়নি। দুই দিনের অনুষ্ঠান এক দিনে সম্পন্ন করা হয়েছে। তাছাড়া এবার চীবর দান উৎসবে অসুস্থতার জন্য রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেননি। প্রতি বছর বিহারের উত্তর মাঠে দানোৎসবের আয়োজন করা হলেও এবার তা হয়নি। করোনার জন্য সব কিছুতে কাটছাঁট করা হয়েছে। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি মানুষকে সচেতন করতে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর