৪১টি স্প্যানের মধ্যে ৩৯টি বসে পড়েছে পিলারে। আর মাত্র ২টি স্প্যান বসলেই পুরো পদ্মা সেতু দৃশ্যমান হবে। গত ২১ নভেম্বর ৩৮তম স্প্যান বসানোর মাত্র ৫ দিনের মাথায় গতকাল দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের মাঝ পদ্মায় ১০ ও ১১ নম্বর পিলারের ওপর ৩৯তম (‘২-ডি’) স্প্যান বসানোর কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এর মাধ্যমে পদ্মা সেতুর পাঁচ হাজার ৮৫০ মিটার বা ৫ দশমিক ৮৫ কিলোমিটার অবকাঠামো দৃৃশ্যমান হলো। এখন মাত্র ২টি স্প্যানে ৩০০ মিটার  সেতুর অবকাঠামো দৃশ্যমান

হতে বাকি।  সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর সিনিয়র জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাসের জানান, গত অক্টোবরে সর্বাধিক ৪টি স্প্যান বসানো হয়। এরপর এ মাসে নভেম্বরেও তারই ধারাবাহিকতায় ৪টি স্প্যান বসানো সম্ভব হলো। চলতি মাসের ৬, ১২, ২১ ও ২৭ তারিখে এ ৪টি স্প্যান বসানো হয়েছে। বাকি ২টি স্প্যানের ৪০তমটি (স্প্যান ২-ই)  আগামী ২ ডিসেম্বর ১১ ও ১২ নম্বর পিলারের ওপর এবং সর্বশেষ ৪১তম স্প্যানটি আগামী ১০ ডিসেম্বর ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের ওপর বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। সব কিছু অনুকূলে থাকলে ১০ অথবা সম্ভাব্য ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসেই দৃশ্যমান হবে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর শতভাগ অবকাঠামো ৬ হাজার ১৫০ মিটার বা ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সেতু। বর্তমানে মূল সেতুর বাস্তব কাজের অগ্রগতি প্রায় ৯২ শতাংশ। আর পুরো প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৮৩ শতাংশ। মূল সেতুর কাজ শেষ করার জন্য সংশোধিত তারিখ নির্ধারিত আছে ২০২১ সালের ৩০ জুন। অন্যদিকে সেতুতে বসানো স্প্যানগুলোতে স্ল্যাব বসানোর কাজও দ্রুত এগিয়ে চলেছে। সেতুর ওপরের তলায় রোডওয়ে স্লাব বসবে ২৯১৭টি। এরই মধ্যে এখন পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে প্রায় ২১১৩টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। নিচতলায় রেলওয়ে স্ল্যাব বসবে ২৯৫৯টি। এরই মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৮০০ রেলওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে পদ্মা  সেতু প্রকল্পের সড়ক অংশের কাজ পুরোপুরি শেষ হয়ে যাবে বলে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আশা করছেন। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রজ্ঞা ও দৃঢ়চেতা মনোবল আর সাহসী নেতৃত্বে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নিবিড় তত্ত্বাবধানে প্রতিকূলতার বিন্ধ্যাচল পেরিয়ে শেষ প্রান্তে আমাদের স্বপ্নের সেতু বন্ধন।