শনিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

চঞ্চল ধলাগলা লেজনাচানি

দীপংকর ভট্টাচার্য লিটন, শ্রীমঙ্গল

চঞ্চল ধলাগলা লেজনাচানি

খুব চঞ্চল প্রকৃতির। সারা দিনই এ ডাল থেকে ও ডালে ওড়াউড়ি করে। কিছু সময়ের জন্য যদি কোনো ডালে বসে তখন শুধু ছটফট করতে খাকে। হয়তো এ জন্যই এ পাখির নাম হয়েছে ধলাগলা লেজনাচানি। এর ইংরেজি নাম White-throated Fantail. অঞ্চল ভেদে এদের সাদাগলা লেজনাচানি, ধলাগলা ছাতিঘুরুনি বা চাক দোয়েল নামে ডাকা হয়। এরা রিপিডুরিডি গোত্রের ছোট ছটফটে পাখি। দেখতে ধূসর কালো রঙের। ভ্রু ও গলা সাদা। প্রাপ্তবয়স্ক পাখির থুঁতনি ও গলা সাদা। লেজ ছড়ালে এর কেন্দ্রের পালকের আগা সাদা দেখায়। চোখ বাদামি। ঠোঁট কিছুটা বাদামি-কালচে। ডানার গোঁড়ার পালকের আগা ও ডানার পালক-ঢাকনি লালচে। উপ-প্রজাতিভেদে এদের আকার ও রঙে পার্থক্য রয়েছে। সম্প্রতি চুয়াডাঙ্গার বেলগাছি পাখির গ্রাম থেকে এর ছবি তুলেছেন প্রকৃতিপ্রেমী বখতিয়ার হামিদ। তিনি জানান, এ পাখি সাধারণত হালকা বন, ছায়াঘেরা ঝোপঝাড়, বাঁশবন ও বাগানে বিচরণ করে। কখনো একা কখনো জোড়ায় জোড়ায় থাকে। গাছের এক ডাল থেকে আরেক ডালে উড়াল দিয়ে পোকা শিকার করতে খুব অভ্যস্থ। এরা পুরোপুরী পতঙ্গভুক। খাদ্য তালিকায় রয়েছে নানা জাতের ডানাওয়ালা পতঙ্গ। আগস্ট মাস প্রজনন মৌসুম। এ সময় উঁচু কঞ্চি বা গাছের চেরা ডালে পেয়ালাকৃতির বাসা বাঁধে স্ত্রী পাখিরা। তিনটি ডিম দেয়। ১২ থেকে ২৪ দিনে ডিম ফুটে ছানা বের হয়। এর ১৩ থেকে ১৫ দিনে ছানারা বাসা ছেড়ে উডাল দেয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর