ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নের আরাজী পাহাড়ভাঙা গ্রামের পিতৃহীন এক শিশুকে তিন দফা ধর্ষণ করেছে একই গ্রামের ৮০ বছরের সিরাজুল ইসলাম (বাতাসু)। এরপর আরেক দফা ধর্ষণের চেষ্টা করতে গিয়ে তিনি ব্যর্থ হয়ে পালিয়ে গেছেন। গত ২২ নভেম্বর বিকালে সর্বশেষ এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা গেছে, পিতা মারা যাওয়ার পর থেকে শিশুর পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়ে। এই সুযোগে বৃদ্ধ সিরাজুল ইসলাম (বাতাসু) ওই শিশুকে ধরে নিয়ে তিন দিনে তিনবার ধর্ষণ করে। বাতাসু ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নাসিরুলের চাচা হওয়ায় এ ঘটনার কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। ইউপি সদস্য চেয়ারম্যানকে দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিষয়টির মীমাংসা করে দেন। এ অবস্থায় ২২ নভেম্বর বিকালে শিশুটিকে একা পেয়ে বাতাসু তাকে ধরে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তখন শিশুটি চিৎকার-চেঁচামেচি করলে বাতাসু পালিয়ে যায়। এরপর মেয়ে মাকে সব ঘটনা খুলে বলে। তখন মেম্বার-চেয়ারম্যানের কাছে বিচার না পেয়ে মা ঠাকুরগাঁও সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

মা জানান, স্বামী দুই বছর আগে মারা যায়। তিন মেয়েকে নিয়ে খুব কষ্ট করে দিন পার করছেন। সারাদিন মাঠে কাজ করেন। এই সুযোগে বৃদ্ধ বাতাসু শিশুকে ধরে নিয়ে তিন দফায় তিনবার ধর্ষণ করে। এ বিষয়ে নাসিরুল মেম্বারের কাছে বিচার চাইলে গেলে তিনি খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং সাবধান করে বলেন- ‘পুলিশের কাছে গেলে হাত কেটে নেওয়া হবে। মাথা আর দেহ দুভাগ করে দেওয়া হবে। প্রয়োজন হলে আরও ধর্ষণ করা হবে। আমি দেখব কোন পুলিশ আসে বিচার করতে।’