মঙ্গলবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনায় পূরণ হয়নি এইচ আইভি টেস্টের টার্গেট

আজ বিশ্ব এইডস দিবস

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনা মহামারীর কারণে চলতি বছর এইচআইভি এইডস টেস্টের টার্গেট পূরণ হয়নি। কিছুটা ঘাটতি পড়েছে টেস্টে। এ বছরের মার্চ থেকে বন্ধ ছিল এইচআইভি টেস্টের কর্মসূচি। করোনা মহামারীর মধ্যেই এ বছর পালিত হচ্ছে বিশ্ব এইডস দিবস। স্বাস্থ্য অধিদফতরের এইডস/ এসটিডি কর্মসূচির সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, প্রতি বছর এইচআইভি টেস্টিং টার্গেট থাকে আমাদের। সেক্ষেত্রে চলতি বছর কিছু ঘাটতি হয়েছে। যে পরিমাণ টার্গেট আমরা করেছিলাম, সে পরিমাণ টেস্ট করতে পারিনি, কভিড পরিস্থিতির কারণে। হাসপাতালগুলাতে মোট রোগীর সংখ্যাও কমে এসেছিল। এইডস/এসটিডি কর্মসূচি সূত্রে জানা যায়, টেস্টিংয়ের জন্য বড় একটি জায়গা হচ্ছে গামকা (গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল অ্যাপ্রুভড মেডিকেল সেন্টারস অ্যাসোসিয়েশন)। গামকার আওতায় থাকা দেশগুলোতে যেতে হলে এইচআইভি টেস্ট করা বাধ্যতামূলক। বছরে এখানে প্রায় ৭ লাখ পরীক্ষা করে থাকে। কিন্তু চলতি বছর মার্চের পর থেকে এই পরীক্ষা বন্ধ ছিল। আর সাধারণত যাদের এই পরীক্ষা করানো হয় তারা লকডাউনের কারণে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। ভারতের মিজোরাম, মনিপুর, মেঘালয়, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশে অবাধ যাতায়াত রয়েছে এবং সেখানে এইচআইভি পজিটিভ রোগীও আছে। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে রোগী থাকার কারণে দেশ এখনো নিরাপদ নয়। দেশে প্রথম ১৯৮৯ সালে এইচআইভি এইডস রোগী শনাক্ত হয়। ২০১৯ সালে এ রোগে শনাক্ত হন ৯১৯ জন, মারা যান ১৭০ জন। অন্যদিকে ১৯৮৯ সাল থেকে ২০১৯ পর্যন্ত দেশে এইচআইভি এইডসে আক্রান্ত ৭ হাজার ৩৭৪ জন শনাক্ত হন, যার মধ্যে ১ হাজার ২৪২ জন মারা গেছেন। মোট শনাক্ত হওয়া ৭ হাজার ৩৭৪ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী আছেন রাজধানী ঢাকায়, প্রায় ২ হাজার ৫০০ জনের মতো। আবার গত বছর যে ৯১৯ জন শনাক্ত হন তাদের মধ্যে রোহিঙ্গা ১০৫ জন। তার আগের বছর ছিল ৮৬৫ জন। এই হিসাবে যে জেলা থেকে বেশি শনাক্ত হচ্ছেন, সেসব জেলাকে এইচআইভি কর্মসূচির আওতায় অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে বলে জানান আক্তারুজ্জামান। বাংলাদেশের ২৩টি জেলায় এইচআইভি এইডসে আক্রান্ত রোগী বেশি। এই ২৩ জেলার ২৮ কেন্দ্রে এইচআইভি এইডসের সেবা কার্যক্রমও বেশি। এইচআইভি পরীক্ষা এবং আক্রান্তদের চিকিৎসা চলছে বিনামূল্যে। এসব জেলার ১১টি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেলা হাসপাতালগুলোতে এই সেবা দেওয়া হচ্ছে। গত এক বছরে নারী যৌনকর্মী, পুরুষ যৌনকর্মী, শিরায় মাদক গ্রহণকারী এবং হিজড়া জনগোষ্ঠীর ভিতরে পরীক্ষা করে শতকরা এক শতাংশ পজিটিভ পাওয়া গেছে। যা কি না গত কয়েক বছর আগেও অনেক বেশি ছিল। আবার এর মধ্যে শিরায় মাদক গ্রহণকারীদের মধ্যে পজিটিভের হার বেশি, শতকরা ২৪ শতাংশ, আর প্রবাসী ও অভিবাসীদের মধ্যে রয়েছেন ২০ শতাংশ। তবে সাধারণ মানুষের মধ্যে সংক্রমণের হার শূন্য দশমিক শূন্য এক-এরও নিচে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর