শিরোনাম
বুধবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা
ফারমার্স ব্যাংক দুর্নীতি

চার আসামির জামিন বাতিল চেয়ে রুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফারমার্স ব্যাংকে ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় চার আসামির জামিন কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাই কোর্ট। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালত যে চার আসামির জামিন বাতিলের প্রশ্নে রুল জারি করেছে তারা হলেন- সাবেক ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড) ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফল হক, একই ব্যাংকের প্রথম  ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, টাঙ্গাইলের মো. শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা।

এ ছাড়া সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা, ব্যাংকটির ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, রণজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায় এ মামলার পলাতক আসামি।

আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন মো. খুরশীদ আলম খান, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবিন রাব্বানী দীপা ও আন্না খানম কলি।

গত ১৮ আগস্ট ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালত চার আসামির জামিন মঞ্জুর করেছিল।

জালিয়াতির মাধ্যমে ফারমার্স ব্যাংক থেকে চার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের মামলায় এসকে সিনহাসহ ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে ১৩ আগস্ট মামলার বিচার শুরু হয়।

এর আগে এ মামলায় অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে গত ৫ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ফারমার্স ব্যাংকে ভুয়া ঋণ সৃষ্টি করে সেই টাকা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর, উত্তোলন ও পাচার করেছেন। তাদের এই লেনদেন দন্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং ২০১২ সালের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২)(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

নানা নাটকীয়তার পর সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা তিন বছর আগে বিদেশে পাড়ি জমানোর পর দুদক অভিযোগ পায়, তিনি ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে ব্যবসায়ী পরিচয়ে দুই ব্যক্তির নেওয়া ঋণের চার কোটি টাকা নিজের অ্যাকাউন্টে নিয়েছিলেন।

অভিযোগ পেয়ে ওই বছরই তদন্তে নামে দুদক। দীর্ঘ তদন্তের পর গত বছরের ১০ জুলাই সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন।

মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর আসামি শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখায় আলাদা দুটি অ্যাকাউন্ট খোলেন। ব্যবসা বাড়ানোর জন্য পরদিন তারা ওই ব্যাংক থেকে দুই কোটি টাকা করে মোট চার কোটি টাকা ঋণের আবেদন করেন।

তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং ঋণের আবেদনে উত্তরার ১০ নম্বর সেক্টরের ১২ নম্বর রোডের ৫১ নম্বর বাড়ির ঠিকানা ব্যবহার করা হয়, যার মালিক ছিলেন এস কে সিনহা।

ঋণের জামানত হিসেবে আসামি রণজিৎ চন্দ্রের স্ত্রী সান্ত্রী রায়ের নামে সাভারের ৩২ শতাংশ জমির কথা উল্লেখ করা হয় ঋণের আবেদনে। ওই দম্পতি এস কে সিনহার পূর্ব পরিচিত ও ঘনিষ্ঠ বলে উল্লেখ করা হয়েছে মামলার এজাহারে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর