শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

জানুয়ারিতে বাংলাদেশ-ব্রিটেন জিটুজি বৈঠক

চূড়ান্ত হবে ব্রেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্যনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্রেক্সিটের পর ব্রিটেন ও বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক সম্পর্ক কোন পথে যাবে সে বিষয়ে আলোচনা করতে আসছে জানুয়ারিতে ‘জিটুজি’ বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশ দুটির সরকার। গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকটি সম্পন্ন করার বিষয়ে আলোচনা করতে গতকাল বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে মতবিনিময় করেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত রবার্ট চ্যাটার্টন। বাণিজ্যমন্ত্রীর ঢাকায় সরকারি বাসভবনের অফিস কক্ষে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময়কালে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ব্রেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্য ও বিনিয়োগে ব্রিটেনের আগ্রহে বাংলাদেশ উৎসাহবোধ করছে। নতুন উদ্যমে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সঠিক পথে পরিচালনার জন্য উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা জরুরি। আগামী জানুয়ারি মাসেই উভয় দেশের মধ্যে (জিটুজি) বাণিজ্য বৈঠকের আয়োজন করা হবে। ব্রিটেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে আলাদা (ব্রেক্সিট) হওয়ার পর নতুন বাণিজ্য নীতিতে বাংলাদেশকে গুরুত্ব দেওয়া হবে এমন আশা প্রকাশ করে টিপু মুনশি বলেন, ২০২৪ সালে এলডিসি থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পরও বাংলাদেশকে বাণিজ্য ক্ষেত্রে চলমান সুযোগ-সুবিধাগুলো তারা অব্যাহত রাখবে বলে আশা করছি।

 বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ব্রিটেনের সহায়তায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী ব্রিটেনে লেখাপড়া করতে যান। তারা বাংলাদেশে একটি বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুললে বাংলাদেশের আরও অনেক শিক্ষার্থী সেখানে পড়ালেখা করার সুযোগ পাবেন। ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত বলেন, ব্রেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে গুরুত্ব দিচ্ছে ব্রিটেন। উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৈঠক করে এ বিষয়ে বিস্তারিত কার্যক্রম গ্রহণ করা সম্ভব। বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ব্রিটিশ সরকার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য হচ্ছে যুক্তরাজ্য। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাংলাদেশের অনুকূলে। গত অর্থবছর দেশটিতে ৩৪৫৩.৮৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, বিপরীতে আমদানি হয়েছে ৪১০.৮৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।

সর্বশেষ খবর