শিরোনাম
শনিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

ভোটাধিকারের জন্য কি অনন্তকাল লড়াই করব

------ খায়রুল কবীর খোকন

ভোটাধিকারের জন্য কি অনন্তকাল লড়াই করব

নব্বইয়ের ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম শীর্ষ নেতা ও ডাকসুর সাবেক জিএস খায়রুল কবীর খোকন বলেছেন, আমরা কি অনন্তকাল গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের জন্য লড়াই করতেই থাকব? স্বৈরাচার এরশাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ নয় বছর আন্দোলন হয়েছিল। এরপর এরশাদের চূড়ান্ত পতন হয়। তখন যে লক্ষ্য-উদ্দেশ্যে আমরা আন্দোলন করেছিলাম বিশেষত মানুষের মৌলিক অধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, অর্থনৈতিক মুক্তি- তার কোনোটাই এখন পর্যন্ত অর্জিত হয়নি। এখনো আমাদের সেই আন্দোলন চলছে। এটা কি চলতেই থাকবে? গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে ফোনালাপে বিএনপির যুগ্মমহাসচিব খায়রুল কবীর খোকন এসব কথা বলেন। সাবেক এই ছাত্রনেতা বলেন, এখনো গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকারের জন্য আমাদের আন্দোলন করতে হচ্ছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করতে হচ্ছে। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময় আমরা যে অঙ্গীকার করেছিলাম তা আজও বাস্তবায়ন করতে পারিনি। স্বৈরাচার পতনের পর তিন জোটের যে রূপরেখা দিয়েছিলাম- কোনো স্বৈরাচারকে দলে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেব না। কিন্তু পরে দেখা গেল সেই স্বৈরাচারকেই জোটে আশ্রয় দেওয়া হয়। স্বৈরতন্ত্র ও গণতন্ত্রের যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত তা কি অনন্তকালই থাকবে?

খায়রুল কবীর খোকন বলেন, এখন মনে হচ্ছে ক্ষমতায় থাকা আর ক্ষমতায় যাওয়াই রাজনীতির মুখ্য উদ্দেশ্য। আমরা মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। এটা জাতির জন্য লজ্জার। এখন পুরো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা জরুরি। মানুষের প্রত্যাশা বাস্তবায়ন করা উচিত। আমাদের সবাইকে দলীয় সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে জাতীয় স্বার্থে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে হবে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আজ আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভূলুণ্ঠিত করেছি। বর্তমান শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। দেশের সামগ্রিক অবস্থা ভালো নয়। সন্ত্রাস, দুর্নীতি, ধর্ষণসহ সামাজিক যে অবক্ষয় চলছে তা থেকে পুরো জাতি মুক্তি চায়। আমাদের সাংবিধানিক অধিকার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। মানুষ তার মৌলিক অধিকার ফিরে পেতে চায়। জনগণকে এক করে যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে এসব দাবি আদায় করতে হবে। ভোটাধিকারের মাধ্যমেই আমরা ক্ষমতার পালাবদল চাই, অন্য কোনো পন্থায় নয়।

তিনি আরও বলেন, এখন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো দলীয়করণ করা হচ্ছে। সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে অন্যায়ভাবে বিরোধী দল-মতের ওপর হামলা চালাচ্ছে। সরকার দেশ পরিচালনায় পুরোপুরি ব্যর্থ। অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচার হচ্ছে। জনগণ রাষ্ট্রের মালিক। তাদের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাব না।

সর্বশেষ খবর