নগরের কোতোয়ালি থানাধীন টেরিবাজারের আফিমের গলির সহকর্মীর বাসা থেকে মাধব দেবনাথ নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিন দিন আগে শ্বাসরোধে হত্যা শেষে লাশটি খাটের নিচে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল বলে ধারণা পুলিশের। এ ঘটনায় পুলিশ তার সহকর্মীসহ ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। ওই যুবক স্বর্ণের গহনা তৈরির কারখানার কর্মচারী বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার বাড়ি কুমিল্লায়। তিনি টেরিবাজারের পাশের এলাকা স্বর্ণের বাজারখ্যাত হাজারী লেইনের গহনা তৈরির কারখানায় কাজ করতেন বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন। একই কারখানায় কাজ করতেন মাধবের মামাতো ভাই পিন্টু দেবনাথ। তার বাসায় মরদেহটি পাওয়া গেছে। ওসি মহসীন জানান, ওই বাসায় পিন্টু ও তার স্ত্রী, তার ছোট দুই ভাই এবং মা-বাবা থাকেন। আর মাধব থাকতেন লালদীঘির পাড়ে ব্যাচেলর বাসায়। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে পিন্টু ফোন করে ওসিকে জানান, তার আত্মীয় মাধবকে তিন দিন ধরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে তাকে তাদের বাসায় খাটের নিচে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। এ তথ্য পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধারের পাশাপাশি পিন্টু, তার বাবা-মা, দুই ভাই, স্ত্রীসহ ছয়জনকে আটক করে।
