মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা
কৃষি

জি-নাইন কলা চাষে সফল চাষি দেলোয়ার

শেখ সফিউদ্দিন জিন্নাহ্

জি-নাইন কলা চাষে সফল চাষি দেলোয়ার

দেশে প্রথমবারের মতো জি-নাইন জাতের কলা চাষে সফলতা দেখিয়েছেন গাজীপুরের শ্রীপুরের চাষি মো. দেলোয়ার হোসেন। এর আগে তিনি টিউলিপ ফুল চাষেও সফল হন। শীত প্রধান দেশের ফুল টিউলিপ চাষ করে দেশজুড়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। সাধারণ মানুষের ধারণাই ছিল না টিউলিপ ফুল বাংলাদেশে চাষ করা যাবে। তবে দৃঢ় মনোবল আর চেষ্টায় সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন দেলোয়ার হোসেন। এবারও তিনি তাক লাগিয়ে দিলেন ব্যতিক্রমী জি-নাইন (এ-৯) কলার বাম্পার ফলন ঘটিয়ে। ইতিমধ্যে গাছে গাছে কলা শোভা পাচ্ছে। পোকা-মাকড় থেকে রক্ষায় সাদা টিসু ব্যাগে মোড়ানো রয়েছে কলার ছড়ি।

বাংলাদেশ প্রতিদিনকে কৃষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ভারতের পুনে থেকে জি-নাইন জাতের কিছু টিস্যু কালচার এনে পরীক্ষামূলকভাবে রোপণ করেন। এরপর সেগুলো থেকে আশানুরূপ ফল পেয়েছেন। তিনি বলেন, এগুলো অন্য কলার চেয়ে বেশি সুস্বাধু। আকার তুলনামূলক বড়। প্রতি ছড়িতে ৪০ থেকে ৬০ হালি কলা পাওয়া যায়। যা সাড়ে চারশ থেকে ৫০০ টাকা বিক্রি করা যাবে। তিনি বলেন, কলার গায়ে আন্তর্জাতিক চাহিদা মতো রং আনা গেলে তা রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। তবে রং আনতে হলে যে প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয় তা অনেক ব্যয়বহুল। তৃণমূলের কৃষকের পক্ষে তা কষ্টসাধ্য। তাই কলা প্রক্রিয়ার জন্য সরকারি সহযোগিতা প্রয়োজন। তিনি বলেন, এই কলার জাত দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে হলে চারা উৎপাদন বাড়াতে হবে। চারা উৎপাদনের জন্য টিস্যু কালচার ল্যাব স্থাপন করতে হয়। সরকারি সহযোগিতা ছাড়া কৃষকের পক্ষে তা করা অসম্ভব। শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এ এস এম মূয়ীদুল হাসান বলেন, জি-নাইন কলা খুবই সু-স্বাদু দেখতেও দৃষ্টিনন্দন। এ কলা বিদেশে রপ্তানির ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। দেলোয়ার সফল চাষি। তিনি কৃষি পুরস্কার পাওয়া আদর্শ কৃষক। তিনি দেশে প্রথম টিউলিপ ফুল চাষে সাফল্য দেখিয়েছেন।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) মহাপরিচালক ডক্টর সাজিরুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমাদের মাটিতে অনেক বিদেশি ফল উৎপাদন সম্ভব। আমরা গবেষণা করে যাচ্ছি। তবে এরই মধ্যে গাজীপুরের কৃষক দেলোয়ার জি-নাইন কলা চাষাবাদ করছেন বলে জানতে পেরেছি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর