শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

প্রথম ধাপে পৌর ভোটে প্রার্থীর ছড়াছড়ি

চূড়ান্ত লড়াইয়ে ১২১৮ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রথম ধাপের ২৪ পৌরসভায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার শেষ হয়েছে। এ নির্বাচনে মেয়র পদে চূড়ান্ত প্রার্থী রয়েছেন ৯৩ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ২৭৭ জন এবং কাউন্সিলর ৮৪৮ জন। তিন পদে মোট প্রার্থী রয়েছেন ১২১৮ জন। নির্বাচন কমিশন আজ চূড়ান্ত প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করবে। এদিকে নির্বাচন কমিশন প্রথম ধাপে ২৫ পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করলেও গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভায় একজন মেয়র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ওই পৌরসভা নির্বাচন বন্ধ রেখেছে কমিশন। অন্যদিকে প্রথম ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থীর ছড়াছাড়ি দেখা যাচ্ছে। মেয়র পদে কোনো কোনো পৌরসভায় পাঁচ থেকে আটজন প্রার্থীও রয়েছেন। আর সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে কোনো কোনো পৌরসভায় প্রার্থী সংখ্যা ১০ থেকে ১৬ জন। আবার কাউন্সিলর পদে কোনো কোনো পৌরসভায় প্রার্থী সংখ্যা ৫০ থেকে ৭১ জন।   

ইসি জানিয়েছে, ২৫টি পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র, সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১ হাজার ৩৩৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। বাছাইয়ে বাদ পড়েন ৬১ জন। পরে মোট প্রার্থী সংখ্যা হয় ১ হাজার ২৭২ জন। মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে ভোট হচ্ছে। প্রথম ধাপে ২৮ ডিসেম্বর ভোট হবে ইভিএমে। ১ ডিসেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন। ৩ ডিসেম্বর বাছাই শেষ হয়েছে। প্রত্যাহারের শেষ সময় ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ইসি কর্মকর্তারা জানান, মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিনে প্রথম ধাপের পৌরসভাগুলোয় মেয়র পদে ১১২ জন,  সংরক্ষিত নারী আসনে ২৮৩ এবং  সাধারণ বা কাউন্সিলর পদে ৯৩৮ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বাছাইয়ের পরে মেয়র পদে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ১০৩ জন; সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ২৭৮ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৯৩৮ জন। তবে আপিল নিষ্পত্তি শেষে মেয়র পদে প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১০০ জনে; সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রার্থী সংখ্যা হয় ২৭৯ ও সাধারণ কাউন্সিলর পদের প্রার্থী হন ৯৯৭ জন। আর গতকাল মেয়র পদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন সাতজন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদের দুজন এবং কাউন্সিলর পদে ৪৯ জন।

দেশের পৌরসভা রয়েছে মোট ৩২৯টি। এবারে মোট চার ধাপে ১৯৪ পৌরসভায় ভোট হবে। গত ২২ নভেম্বর প্রথম ধাপে ২৫টি পৌরসভায় ভোটের তফসিল দেওয়া হয়। ২ ডিসেম্বর তফসিল ঘোষণা হয়ে দ্বিতীয় ধাপে ৬১ পৌরসভা নির্বাচন। আইন অনুযায়ী, মেয়াদ শেষের পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যেই পৌরসভার ভোট করতে হয়। স্থানীয় সরকার আইন সংশোধনের পর ২০১৫ সালে প্রথম দলীয় প্রতীকে ভোট হয় পৌরসভায়। সেবার ২০টি দল ভোটে অংশ নেয়। সর্বশেষ ২০১৫ সালে ২৪ নভেম্বর পৌর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। ৩৬ দিন সময় দিয়ে ভোটের তারিখ দেওয়া হয় ৩০ ডিসেম্বর। এক দিনে ভোট হয় ২৩৪টি পৌরসভায়। বাকিগুলোয় মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ বিবেচনায় ও বিভিন্ন জটিলতা সেরে ভোট হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর