শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

দীর্ঘদিনের বিষফোঁড়া জলাবদ্ধতা নিরসনে পরিকল্পিত উদ্যোগ নেব

-রেজাউল করিম চৌধুরী

ফারুক তাহের, চট্টগ্রাম

দীর্ঘদিনের বিষফোঁড়া জলাবদ্ধতা নিরসনে পরিকল্পিত উদ্যোগ নেব

মহানগরের প্রতিটি ওয়ার্ডে অন্তত একটি করে উন্নতমানের স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা এবং চট্টগ্রামকে আধুনিক পর্যটননগর হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে মতামত ব্যক্ত করেছেন রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মেয়র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন। নির্বাচিত হলে চট্টগ্রাম নগর ঘিরে কী ধরনের পরিকল্পনা রয়েছে- জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের এই যুগ্মসম্পাদক বলেন, ‘মানুষের জন্য কাজ করাই আমার রাজনৈতিক মূল উদ্দেশ্য। ১৯৬৭ সাল থেকে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছি। পদ-পদবির লোভ কখনো করিনি। এর পরও ছাত্রজীবন থেকেই দলীয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছি। আর মানুষের কল্যাণ করাই হচ্ছে রাজনীতির ধর্ম। সুতরাং মেয়র পদে নির্বাচন করার সুযোগটা যখন পেয়েছি একে পুরোপুরি কাজে লাগাতে চাই। এ করোনাকালে গভীরভাবে উপলব্ধি করেছি, স্বাস্থ্যসেবা পেতে মানুষের কী হাহাকার, কী শোচনীয় অবস্থা! তাই প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে উন্নত স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণ করব। আমার নির্বাচনী ইশতেহার বলেন আর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বলেন, এ ক্ষেত্রে আমি নগরের দীর্ঘদিনের “বিষফোঁড়া” জলাবদ্ধতা নিরসনে পরিকল্পিত কিছু উদ্যোগ নেব। এ ছাড়া এখন যে হারে পাড়ায় পাড়ায় মাদকের ব্যবহার এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ড আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে, প্রশাসনের সহায়তায় এসবের মূলোৎপাটন করব।’ মেয়র নির্বাচিত হলে হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই জানিয়ে রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘নগরের অনেক এলাকায় পুরনো একতল-দ্বিতল ভবনের স্থলে বহুতল ভবন উঠেছে। সার্ভে করে এ ক্ষেত্রে নতুন ভবনগুলো ট্যাক্সের আওতায় আনা হবে। সহনীয় পর্যায়ে হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণ করা হবে, যাতে ট্যাক্স হোল্ডারদের কাছে আরোপিত কিছু মনে না হয়।’ চসিকের এই মেয়র প্রার্থী আরও বলেন, ‘অর্থ-বিত্ত থাকলে পদ-পদবি পাওয়া যায়, এমনকি এমপি-মন্ত্রীও হওয়া যায়, কিন্তু প্রকৃত রাজনীতিবিদ হওয়া যায় না। রাজনীতিবিদ হতে হলে মানুষের মনের ভাষা বুঝতে হয়, মানুষের অধিকার সম্পর্কে সচেতন থাকতে হয়। তাই খেলার মাঠশূন্য এ নগরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কয়েকটি খেলার মাঠ দিতে হবে। শিশুদের খেলার মাঠের জন্য অভিভাবকদের মনে দীর্ঘদিন ধরে হাহাকার চলছে। সুন্দর পরিবেশের জন্য মানুষের মনন ও সুস্থ সংস্কৃতি বিকাশের জন্য আমার নিজস্ব কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। এ ছাড়া বর্তমানে রাস্তাঘাটের যে বেহাল চিত্র এবং নগরের পরিবেশ-পরিচ্ছন্নতা ও মশক দমন নিয়ে কাজ করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। আমি সেসব সুযোগ কাজে লাগিয়ে জনগণের মনে আসন নিতে চাই।’

সর্বশেষ খবর