রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটরা সমঝোতায় উপনীত হওয়ার ফলে যুক্তরাষ্ট্রে এককালীন প্রত্যেক আমেরিকান ৬০০ ডলারের চেক পাবেন এবং বেকার ভাতা হিসেবে ফেডারেল থেকে পাবেন সপ্তাহে ৩০০ ডলার করে।
এছাড়া স্কুল পরিচালনা, শিশু পরিচর্যা কেন্দ্র ও টিকা প্রদান কর্মসূচির জন্যও মোটা তহবিল রয়েছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকেও পিপিপির আওতায় নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়ার কর্মসূচি পুনরায় চালু হবে। এটি হচ্ছে ২১৬তম কংগ্রেসের সর্বশেষ বিধি, যা প্রেসিডেন্ট কর্তৃক স্বাক্ষর হলে অব্যাহত থাকবে মধ্য মার্চ পর্যন্ত। পরবর্তীতে যা পরিশোধ করতে হবে না এমন একটি প্রকল্পে (পিপিপি) ২৮৪ বিলিয়ন ডলার পাবেন ক্ষুদ্র ব্যবসার মালিকরা। এ অর্থে পুরনো কর্মচারীদের নিয়োগ করে ব্যবসা পুনরায় চালু করতে হবে। বকেয়া বাসা/ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ভাড়া প্রদানের ফান্ডে থাকবে ২৫ বিলিয়ন ডলার (যারা বেকার ভাতা পাচ্ছেন না, তারাই পাবেন এ সুবিধা)। বকেয়া ভাড়ার জন্য উচ্ছেদ স্থগিতাদেশও থাকবে মার্চ পর্যন্ত। স্কুল-কলেজ পরিপূর্ণভাবে চালুর স্বার্থে ব্যয় করা হবে ৮২ বিলিয়ন ডলার। গত ২০ ডিসেম্বর বিকালে সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদে উভয় পার্টির চার শীর্ষ নেতারা যৌথভাবে স্বস্তিদায়ক উপরোক্ত সিদ্ধান্তের কথা জানান। এতে ৯০০ বিলিয়ন ডলারের একটি প্যাকেজ শিগগিরই কংগ্রেসে পাস হচ্ছে। ক্যাপিটল হিল সূত্রে আশা প্রকাশ করা হয়েছে, বিলটি কংগ্রেসের উভয়কক্ষে পাস হয়ে প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরের জন্য ট্রাম্পের টেবিলে যাবে। এর ফলে কমপক্ষে সোয়া কোটি আমেরিকান চরম একটি অর্থ-সংকট থেকে পরিত্রাণের পথ পাবেন বলে মনে করা হচ্ছে। এরমধ্যে কয়েক লাখ বাংলাদেশিও রয়েছেন, যারা পূর্ণ অথবা অর্ধবেকার অবস্থায় দিনাতিপাত করছেন।
তবে কাগজপত্রহীন অভিবাসীদের জন্য কোনো প্রসঙ্গ নেই দ্বিতীয় এই করোনা-রিলিফ বিলেও।