শিরোনাম
বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

অনেক ব্যবসায়ীকে হারিয়েছি স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির কারণে

-এ কে আজাদ

অনেক ব্যবসায়ীকে হারিয়েছি স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির কারণে

স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি আর অব্যবস্থাপনার কারণে বিদায়ী ২০২০ সালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া অনেক ব্যবসায়ী সহকর্মী হারানোর দুঃখ-কষ্টের কথা জানিয়েছেন এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ। তিনি বলেছেন, ‘এই সময়ে অনেক কিছু নতুন করে শিখেছি। এখন স্বাস্থ্য খাত যেমন ঢেলে সাজাতে হবে, তেমনি দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে।’ তাঁর মতে, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের ব্যবসায়ীদের ঋণ দিচ্ছে না ব্যাংকগুলো। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ। দেশের শীর্ষস্থানীয় তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হা-মীম গ্রুপের এই ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘২০২০ সালটা পোশাকশিল্পের জন্য চ্যালেঞ্জ ছিল। যখনই কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর পথে এগিয়ে গেল, তখনই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ রপ্তানি বাধাগ্রস্ত করল। এ পরিস্থিতি ভ্যাকসিন এলেই স্বাভাবিক হবে।’ খ্যাতনামা এই শিল্পোদ্যোক্তার মতে, করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ধাক্কা দীর্ঘস্থায়ী হলে ব্যবসায়ীদের ক্ষতি অনেক বেড়ে যাবে। যদিও ইতিমধ্যে দেশে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম এই রপ্তানি খাতের ক্রেতারা অর্ডারের গতি কমিয়ে দিয়েছেন। এত দিন অর্ডার মোটামুটি ভালোই ছিল। কিন্তু কিছুদিন ধরে অর্ডার নেতিবাচক হচ্ছে। ইউরোপে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিল্পমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সাবেক এই সভাপতি বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা বা এসএমইরা ঋণ পাচ্ছেন না। তাদের মাত্র ২৪ শতাংশ প্রধানমন্ত্রী-ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ঋণসুবিধা পেয়েছেন। যদিও ব্যাংকগুলো ঋণ দিচ্ছে না, এর পরও আরও ৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ আসছে। তবে এ টাকায় হবে না। এ খাতে ৩০ হাজার কোটি টাকার ঋণ সহায়তা প্রয়োজন। এখানে সরকারকে আরও বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে হবে। এটা না হলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা বা এসএমইরা ঋণ পাবেন না। আবার অনেকে ঋণ ফেরত দিতে পারছেন না। কিন্তু এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু নেই। এ কে আজাদ বলেন, করোনাকালে প্রধানমন্ত্রীর সাহসী ও দৃঢ় পদক্ষেপে দেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে গতিশীলতা ফিরে এসেছে। যদিও কিছু খাত এখনো সম্পূর্ণ সচল হয়ে ওঠেনি। কিন্তু আশার কথা, সরকারপ্রধান এ ব্যাপারে তীক্ষè দৃষ্টি রাখছেন এবং সময়ানুযায়ী দরকারি সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধা করছেন না। এফবিসিসিআইর সাবেক এই সভাপতির মতে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ ব্যবসা-বাণিজ্য স্বাভাবিক করতে দেওয়া হয়েছিল এবং এটা সফল হয়েছে। বড় ব্যবসায়ীদের খুব একটা সমস্যা নেই। তারা কমবেশি ভালো আছেন। কিন্তু ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ-এসএমই খাত কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। তবে প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। ছোট ব্যবসায়ীদের পাশে ব্যাংকগুলো নেই। এ ক্ষেত্রে সরকারি ব্যাংকগুলো ভূমিকা রাখেনি। দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে। অনেক খাতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক কর্মকান্ড প্রায় সচল। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আছে। রপ্তানিও স্বাভাবিক হয়েছে।

সর্বশেষ খবর