বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ভাঙা হবে নাকি সংস্কার

নাসিমুল হুদা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ভাঙা হবে নাকি সংস্কার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র-টিএসসিকে নতুন করে সাজানোর পরিকল্পনা নিয়েছে গণপূর্ত অধিদফতর। তবে টিএসসির বর্তমান অবয়ব ভেঙে নাকি বিদ্যমান অবকাঠামোয় সংস্কারের মাধ্যমে করা হবে, এ বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছুই জানাতে পারেননি গণপূর্ত অধিদফতর ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কেউই। বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী জাভেদ আলম মৃধা বলেন, ‘কিছু দিন আগে অধিদফতরের প্রকৌশলীরা এসেছিলেন আমরা কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা চাই জানতে। ২৭ অক্টোবর বৈঠক করে আমরা তাদের একটি তালিকা দিই।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সূত্র জানান, ওই তালিকায় টিএসসিতে সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের জন্য মহড়াকক্ষ, ব্যায়ামাগার, টিএসসিভিত্তিক সংগঠনগুলোর জন্য কক্ষ, ক্যাফেটেরিয়া, শিক্ষক মিলনায়তন, তিন তলাবিশিষ্ট গাড়ি পার্কিং, অতিথি কক্ষ, দুটি অডিটরিয়াম, সুইমিং পুল প্রভৃতির চাহিদা দেওয়া হয়। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকাটি পাননি বলে জানিয়েছেন পিডব্লিউডির ঢাকা সার্কেল-১৪-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহাবুবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘মৌখিক চাহিদা দেওয়া হয়েছে। লিখিত চাহিদা দেওয়ার জন্য তাদের আজ চিঠি দেব।’ এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠানো ওই তালিকায় টিএসসির বর্তমান অবয়ব ঠিক রাখা বা ভাঙার উল্লেখ ছিল কিনা- জানতে চাইলে জাভেদ আলম মৃধা বলেন, ‘আমরা এমন কিছু বলিনি। আমরা আমাদের চাহিদা জানিয়েছি, তারা কীভাবে করবেন, তা তাদের বিষয়। নকশা না দিলে আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না।’ অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা এখনো কিছু জানি না। স্থপতিরাও নকশা পাঠাননি।’

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। তথ্যগুলো এখনো শেয়ার করার মাত্রায় আসেনি। তবে নকশা না দেখে কিছু বোঝা যাচ্ছে না। পিডব্লিউডি থেকে সেগুলো আসুক। তারপর বলা যাবে। জানুয়ারি শুরুর দিকে তারা হয়তো আসবেন।’ তিনি বলেন, ‘দুই বছর আগে আমরা টিএসসির ফাঁকা জায়গা ব্যবহার করে একটি নকশা দিয়েছিলাম। সেটা পর্যাপ্ত সংকুলান করবে কিনা বিবেচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি জায়গা তাঁর পরিচিত। তাঁর বিশেষ মমত্ববোধ, সম্মান ও আস্থার জায়গা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।’ উল্লেখ্য, গ্রিক স্থপতি কনস্টানটিন ডক্সিয়াডেস ১৯৬০-এর শুরুতে টিএসসির নকশা করেন। পরে টিএসসি ভবনটি তৎকালীন সরকারের উন্নয়ন দশকের অংশ হিসেবে নির্মিত হয়।

সর্বশেষ খবর