শুক্রবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

আজ শুভ বড়দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক

আজ শুভ বড়দিন

আজ ২৫ ডিসেম্বর, শুভ বড়দিন। খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। বড়দিন উদ্যাপনে রাজধানীসহ দেশের গির্জাগুলো সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। এ ছাড়া রাজধানীর অভিজাত হোটেলগুলোতেও বড়দিনের কেক, ডিনার ও শিশুদের জন্য উপহারের আয়োজন করা হয়েছে। বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্টধর্মাবলম্বীসহ সব নাগরিকের শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে বড়দিনের  আয়োজন চলবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রার্থনা হবে উপাসনালয়ে। সীমিত পরিসরে থাকছে নানা অনুষ্ঠানও। উৎসব আয়োজন নির্বিঘ্ন রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। রাজধানীর তেজগাঁও গির্জায় সকালে প্রথম প্রার্থনাসভা হবে। এ গির্জাকে আলোকসজ্জাসহ রঙিন সাজে সাজানো হয়েছে। জরি, রঙিন বেলুন দিয়ে সাজানো হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি। খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, ২ হাজার বছর আগে এ শুভদিনে পৃথিবীকে আলোকিত করে জন্মগ্রহণ করেন খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্ট। বেথলেহেমের এক গোয়ালঘরে কুমারী মা মেরির কোলে জন্ম হয়েছিল যিশুর। সে স্মৃতি স্মরণ করে বড়দিনে গির্জাগুলোয় প্রতীকী গোয়ালঘর তৈরি করা হয়েছে। বড়দিন ঘিরে রাজধানীর বড় বড় হোটেলে সাজসজ্জার পাশাপাশি বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। হোটেলের লবি সাজানো হয়েছে। ক্রিসমাস ট্রি ঘিরে করা হয়েছে বাহারি আলোকসজ্জা। লবিতে রয়েছে নানা রকমের মিষ্টি ও কেক। কিডস পার্টিতে শিশুদের সঙ্গে দেখা করে উপহার দেবেন সান্তা ক্লোজ। শিশুদের বিনোদনের জন্য কোনো কোনো হোটেলে থাকছে ম্যাজিক শো ও কার্টুন মাস্কট। বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর সব চার্চ ঘিরে সর্বোচ্চ নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি সেবা ট্রিপল নাইনে (৯৯৯) ফোন করতে ডিএমপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। বড়দিন উপলক্ষে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বড়দিন উপলক্ষে চার্চে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদান করা হবে। পাশাপাশি খ্রিস্টান অধ্যুষিত এলাকা ও প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত নজরদারি ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। চার্চগুলোয় এলাকাভিত্তিক বিভিন্ন সময়ে একাধিক প্রার্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে বলা হয়েছে। ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া) মো. ওয়ালিদ হোসেন বলেন, প্রতিটি চার্চে পোশাকে ও সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবে। আর্চওয়ে দিয়ে দর্শনার্থীকে ঢুকতে দেওয়া হবে। মেটাল ডিটেক্টরে ও ম্যানুয়ালি তল্লাশি করা হবে। অনুষ্ঠানস্থল ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। নিরাপত্তায় থাকবে ফায়ার টেন্ডার ও অ্যাম্বুল্যান্স ব্যবস্থা। থাকবে চার্চ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ-ব্যবস্থা। চার্চ এলাকায় কোনো ভাসমান দোকান বা হকার বসতে দেওয়া হবে না। কোনো প্রকার ব্যাগ, পোঁটলা, বাক্স, কার্টন ইত্যাদি নিয়ে চার্চে আসা যাবে না। এ ছাড়া প্রতিটি অনুষ্ঠানস্থলের প্রবেশপথে সাবানপানি দিয়ে হাত ধোয়া এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা, থারমাল স্ক্যানার দিয়ে তাপমাত্রা পরিমাপের ব্যবস্থা, জীবাণুনাশক অটো স্প্রে মেশিন অথবা টানেল থাকবে। চার্চের ফাদার ও দায়িত্বরত ব্যক্তিসহ সব ভক্ত-দর্শনার্থীর মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর