বৃষ্টি ও বন্যার পানি নামার সঙ্গে সঙ্গেই মানিকগঞ্জের কৃষকরা বিভিন্ন সবজির আবাদ করেছেন। একই সময়ে সব রকম শীতকালীন সবজি বাজারে আসায় মুলা, ফুলকপি, লালশাক, লাউসহ বিভিন্ন সবজির দাম পড়ে যায়। কিন্তু বেগুন চাষিদের রয়েছে সুদিন। এখন দাম কিছুটা কম হলেও প্রথম দিকে কৃষকরা বেগুন বিক্রি করে প্রচুর লাভবান হয়েছেন। সদর উপজেলার ঢাকুলী গ্রামের বেগুন চাষি আবদুস সালাম বলেন, এবার অন্য সবজিতে তেমন লাভ না হলেও বেগুনে প্রচুর লাভ হয়েছে। তিনি আরও জানান, দুই বিঘা জমিতে বেগুন চাষ করেছেন। এতে প্রায় ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়। এ পর্যন্ত ৫৫ হাজার টাকার বেগুন বিক্রি হয়েছে। আশা করছি লাখ টাকার ওপরে বেগুন বিক্রি করতে পারব। মুকছেদ আলী ব্যাপারী বলেন, সারা দেশেই মানিকগঞ্জের বেগুনের ভালো চাহিদা রয়েছে। আমি এখান থেকে বেগুন কিনে জিরানী বাজারে বিক্রি করি। লাভ হয় ভালোই। অন্য ব্যাপারীরা সাভার, কাওরানবাজারসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করেন। কৃষকরা জানান, সবজি বিক্রির জন্য জাগীর ও ভাটবাউর এলাকায় দুটি আড়ত থাকলেও তারা ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না। তাদের দাবি সবজির মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া এবং প্রতিদিন বাজার পর্যবেক্ষণ করা। কৃষকরা যেন সঠিক দাম পান। তারা জানান, পাইকারি বাজারের সঙ্গে খুচরা বাজারের কোনো মিল নেই। পাইকারি বাজারে এক কেজি বেগুনের দাম ৮ থেকে ১০ টাকা অথচ খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা। মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক, কৃষিবিদ শাহজাহান আলী বিশ্বাস বলেন, মানিকগঞ্জে এবার ব্যাপক সবজি চাষ হয়েছে। ফলনও ভালো। সব রকম সবজি একসঙ্গে বাজারে আসায় দাম কিছুটা কম। তবে বেগুন চাষিরা লাভবান। তারা যথেষ্ট ভালো দাম পেয়েছেন।
