বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াত চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় সংস্থাটি। এ সময় বলা হয়, গ্রেফতার ব্যক্তিরা ব্যাংক কর্মকর্তাসহ উচ্চ পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। এর আগে ২৯ ও ৩১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ প্রতিদিনে এদের গ্রেফতারের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির সাইবার ক্রাইম অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের অতিরিক্ত ডিআইজি কামরুল আহসান জানান, তিনটি দলে বিভক্ত হয়ে এ চক্রের সদস্যরা প্রশ্ন ফাঁসের কাজ করতেন। প্রথম পর্যায়ে তারা বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে গিয়ে শিক্ষার্থী সংগ্রহ করতেন। এরপর পরীক্ষার দিন একটি দল যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রশ্ন সংগ্রহ করে পরবর্তী দলের কাছে পাঠিয়ে দিত, যারা খুব কম সময়ের মধ্যে প্রশ্নের সমাধান করে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে কেন্দ্রে পাঠাত। শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে সুবিধাজনক স্থানে সিট ফেলার কাজ করত আরেক দল। চক্রটি এসব কাজের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা আদায় করত। গ্রেফতার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানানো হয়েছে। এ চক্রের আরও তিন থেকে চারজন সদস্যকে গ্রেফতারের কাজ চলছে। এদের গ্রেফতার করতে পারলেই পুরো চক্রটিকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলে জানান তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা। গ্রেফতার ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন দুটি সরকারি ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার। রাকিবুল হাসান জনতা ব্যাংকের মতিঝিল শাখার এবং মানিক কুমার প্রামাণিক রাজশাহী অগ্রণী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার। অন্যরা হলেন রাশেদুজ্জামান সজীব, হাসান মাহমুদ, শফিকুল ইসলাম, রিপন কুমার ও নাফিউল ইসলাম। এদের প্রায় সবাই রাতারাতি বিপুল সম্পদের মালিক বনে গেছেন বলে সিআইডির অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে।