শনিবার, ২ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

হটলাইনে ফোনকল কমে গেছে ৯৬ ভাগ

২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ৯৯০, মৃত্যু ১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক

হটলাইনে ফোনকল কমে গেছে ৯৬ ভাগ

দেশ থেকে এখনো করোনা বিদায় না নিলেও ছয় মাসের ব্যবধানে কভিড-১৯ সেবা নিতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হটলাইন নম্বরগুলোতে ফোন কল ৯৬ ভাগের বেশি কমে গেছে। গত ১ জুলাই সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য বাতায়ন (১৬২৬৩), ৩৩৩ ও আইইডিসিআর’র হটলাইন নম্বরে (১০৬৫৫ ও ০১৯৪৪৩৩৩২২২) ফোন করে কভিড-১৯ সেবা গ্রহণ করে ১ লাখ ৬১ হাজার ২৯০ জন। গতকাল ১ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় হটলাইন থেকে সেবা নিয়েছেন মাত্র ৬ হাজার ২৩১ জন। ছয় মাসের ব্যবধানে ফোন কল কমে গেছে ৯৬ দশমিক ১৪ শতাংশ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনা নিয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক কমে যাওয়ায় ফোন কল কমে গেছে। আতঙ্ক না থাকার বিষয়টি স্বাস্থ্যবিধি না মেনে হাটে-বাজারে রেস্তোরাঁয় ঘুরে বেড়ানোর মাধ্যমেও ফুটে উঠছে। তবে ভাইরাসটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এখনো তান্ডব চালাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে দৈনিক তিন হাজারের ওপরে                 মানুষ এখনো মারা যাচ্ছে। যে কোনো সময় বাংলাদেশেও করোনার নতুন কোনো প্রজাতি  ফের তান্ডব শুরু করতে পারে। কারণ সংক্রমণ হার ৫ শতাংশের নিচে না নামা পর্যন্ত পরিস্থিতিকে নিরাপদ মনে করার সুযোগ নেই। বাংলাদেশে এই ভাইরাসের সবচেয়ে বেশি বলি হচ্ছে বৃদ্ধরা। তাই পরিবারের অভিভাবকদের বাঁচাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প নেই।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে আরও ৯৯০ জনের দেহে। একই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। এখন পর্যন্ত মোট রোগী শনাক্ত হয়েছে ৫ লাখ ১৪ হাজার ৫০০ জন। মোট মারা গেছেন ৭ হাজার ৫৭৬ জন। মৃতদের মধ্যে প্রায় ৮০ ভাগেরই বয়স পঞ্চাশ বছরের বেশি। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৭ জনের মধ্যে ১২ জনই ছিলেন ষাটোর্ধ্ব, চারজন ছিলেন পঞ্চাশোর্ধ্ব এবং একজনের বয়স ছিল ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। ৪১ বছরের কম বয়সী কেউ গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাননি। এই ১৭ জনের মধ্যে ১০ জন ছিলেন পুরুষ ও সাতজন নারী। হাসপাতালে ১৬ জনের ও বাড়িতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ১২ জন ঢাকা, দুজন চট্টগ্রাম, দুজন খুলনা ও একজন রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা সংক্রমণের তথ্য জানানো হয় ও ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। সংক্রমণ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে হটলাইনে বাড়তে থাকে ফোন কল। গত ১ মে ৫৭১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। ওই দিন হটলাইনে ফোন করে ৭৪ হাজারের বেশি মানুষ। মাসের ব্যবধানে ১ জুন রোগী শনাক্ত হয় ২ হাজার ৩৮১ জন। ওই দিন ফোন করে ১ লাখ ৭৭ হাজার ৮৯ জন, যা ১ মের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি। জুলাইয়ে সংক্রমণ আরও বাড়লেও ফোন কল কমতে শুরু করে। ১ জুলাই রোগী শনাক্ত হয় ৩ হাজার ৭৭৫ জন। ওই দিন ফোনকলে কভিড-১৯ সেবা নেয় ১ লাখ ৬১ হাজার ২৯০ জন। আগস্টে ফোন কল নেমে আসে ৬২ হাজারের নিচে। গতকাল ফোন করে সেবা নেয় মাত্র ৬ হাজার ২৩১ জন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর