শনিবার, ২ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

বসুন্ধরা সিটিতে খুলেছে টগি ওয়ার্ল্ড

রুহুল আমিন রাসেল

বসুন্ধরা সিটিতে খুলেছে টগি ওয়ার্ল্ড

সোনামণিদের নিয়ে আবারও জমে উঠল দেশের বৃহত্তম ইনডোর থিম পার্ক টগি ওয়ার্ল্ড। রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের লেভেল ৮ ও ৯-এ গতকাল থেকে আবার কচিকাঁচাদের এ মিলনমেলা বসেছে। অভিভাবকদের মতে, টগি ওয়ার্ল্ড খোলায় করোনাকালে নাগরিক জীবনের ক্লান্তি আর একঘেয়েমি কাটাতে সুস্থ বিনোদনে কোমলমতি শিশুরা মেতে ওঠার সুযোগ পেয়েছে। প্রথম দিনেই দেখা গেছে শিশুদের কেউ বাইক চালাচ্ছে, কেউ হেলিকপ্টারে চড়ছে, কেউ বসেছে ঘোড়ার পিঠে, কেউ নাগরদোলায়। অনেক দিন পর শিশুদের আনন্দে মাতোয়ারা হওয়ার দৃশ্য দেখে অভিভাবকরা বলেন, শিশুর খুশিতে তারাও মহাখুশি। ঢাকায় বাচ্চাদের খেলার জায়গার বড়ই অভাব। দেশের শীর্ষ শিল্পোদ্যোক্তা পরিবার বসুন্ধরা গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান টগি ওয়ার্ল্ড সে অভাব পূরণ করছে; যা শিশুর সুস্থ মানসিক বিকাশে জরুরি ছিল। টগি ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এখানে নাদরদোলার মতো মিনি ফেরিস ওয়েল রয়েছে। আছে মিনি টাওয়ার। এ ছাড়া বাম্পার কার, লিটল প্লেনসহ মোট ১৫টি আকর্ষণীয় রাইড, ৪৩টি গেমস এবং কিডস ও ভিআইপি বোলিং রয়েছে। আছে ৫০টি শিশু-কিশোর ধারণক্ষমতার একটি পার্টিরুম। আকর্ষণীয় মাদার রুমও রয়েছে। আছে সফট প্লে জোন, যা বাচ্চাদের মানসিক বিকাশে সহায়তা করবে। চার বা তার কম বয়সী বাচ্চাদের জন্য রয়েছে ‘টডলার প্লে জোন’। বড়দের জন্যও রয়েছে বিভিন্ন রাইড। এ ছাড়া এ পার্কে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার বিখ্যাত কাবাব চেইন ‘বাবা রাফি’র আউটলেট। পার্কে প্রবেশ ফি জনপ্রতি ৫০ টাকা। কিডস বোলিংয়ের জন্য ২০০ টাকা চার্জ রয়েছে। বাকি রাইডগুলো উপভোগ করা যাবে ১০০ থেকে ১৫০ টাকায়। শুক্র ও শনিবার বেলা ১১টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা, আর রবি থেকে বৃহস্পতিবার প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত টগি ওয়ার্ল্ড খোলা থাকবে। মঙ্গলবার সাপ্তাহিক বন্ধ।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে টগি ওয়ার্ল্ডের অপারেশন ম্যানেজার মো. মাকসুদুর রহমান গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘করোনাকালে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আবার টগি ওয়ার্ল্ড বিনোদনের জন্য উন্মুক্ত করার পর সোনামণিদের ঢলে জমে উঠেছে। অনেক অভিভাবক কোমলমতি শিশুদের নিয়ে ভিড় জমাচ্ছেন টগি ওয়ার্ল্ডে।’

এর আগে গতকাল দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করে পুনরায় শিশুদের জন্য টগি ওয়ার্ল্ড উন্মুক্ত করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা শপিং মলের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী পরিচালক আবদুুল আলীম, জেনারেল ম্যানেজার হাবিবুর রহমান হাবিব, সেলস অ্যান্ড মার্কেটিংয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার বিশ্বজিৎ পালসহ অন্য কর্মকর্তারা।

গতকাল সাপ্তাহিক ছুটির দিনে শিশু-কিশোরদের নিয়ে টগি ওয়ার্ল্ডে গুলশান থেকে এসেছিলেন সারা কামাল। আলাপকালে বলেন, ‘এ পার্কে শিশুরা যখন সুপার বাইক ড্রাইভ করছে তখন আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।’ গ্রিন রোড থেকে আসা কিরণ আলী বলেন, ‘করোনাকালে অনেক দিন বাচ্চাদের বিনোদন ছিল না। বাচ্চারা ঘরে বসে ক্লান্ত হয়ে উঠেছিল। এমন সময় টগি ওয়ার্ল্ড চালু হওয়ায় আমার বাচ্চারা খুব মজা পাচ্ছে। আসলে এখানে এসে বাচ্চারা আর বের হতে চাইছে না। মনের আনন্দে খেলায় ব্যস্ত থাকছে।’ ধানমন্ডি থেকে আসা শাহীন আল মামুন ও রত্না মামুন দম্পতি বলেন, ‘টগি ওয়ার্ল্ড খোলার খবর পেয়ে ছুটে এসেছি। আমাদের মেয়েরা খুব আনন্দ পাচ্ছে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর